যুগল, প্রতীকী ছবি
একজনের বয়স ২০ বছর। অন্যজনের ১৯ বছর। স্কুলে পড়াকালীন ২ জনের প্রথম দেখা। তারপর বন্ধুত্ব। ২ তরুণীর মধ্যে বন্ধুত্ব তো অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই পরিবারও স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিল।
কিন্তু মিশতে মিশতে ২ তরুণী অনুভব করতে শুরু করেন তাঁরা একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারছেন না। সময় যত গড়াতে থাকে ততই তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে রূপান্তরিত হতে থাকে। যা আপাত দৃষ্টিতে সমাজের চোখে গৃহীত হওয়ার ছিলনা। পরিবারও মানত না।
৭ বছর পর নিজেদের প্রেমের গভীরতাকে একটা সারা জীবনের রূপ দিতে চান ২ জনে। পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপও ছিল। কিন্তু বিয়ে হলে তো তাঁদের দূরত্ব বাড়বে।
তাঁরা তো ২ জনে একসঙ্গে থাকতে চান। অন্য কারও সঙ্গে জীবন কাটাতে চান না। কথাটা এবার পেড়েই ফেলেন বাড়ির কাছে। ২ জনই সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করতে চান।
একজনের পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখা যাবেনা। অন্যজন পরিবারকে বোঝাতে না পেরে অবশেষে লুকিয়ে বাড়ি থেকে পালান।
একজন গুরুগ্রামের বাসিন্দা। অন্যজন ঝাজ্জর এলাকার বাসিন্দা। ২টি জায়গাই হরিয়ানায়। ২ জন সোহনা এলাকার একটি মন্দিরে হিন্দুরীতি মেনেই বিয়ে করেন। একজন যুবতী বর হন। অন্যজন কনে। বিয়ের রীতিতে কোনও খামতি ছিলনা।
এদিকে পরিবারের অভিযোগক্রমে পুলিশ ২ যুবতীকে আটক করে আদালতে পেশ করে। ২ জন আদালতকে জানান তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক। আর তাঁরা নিজেদের ইচ্ছাক্রমেই বিয়ে করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা