National

কুসংস্কার যাচ্ছেনা, সদর দরজায় জুতো ঝুলিয়ে করোনা তাড়াচ্ছেন মানুষজন

করোনা তাড়াতে যেখানে বিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেখানে কিছু মানুষর মন থেকে কুসংস্কার বিদায় নিচ্ছে না। করোনা তাড়াতে নানা কুসংস্কারের আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।

Published by
News Desk

ভূত যাতে তাঁদের বাড়িতে হানা না দেয় সেজন্য বাড়ির বাইরের দেওয়ালে তাকে আসতে মানা করার কথা লিখে রাখতেন গ্রামবাসীরা। আর তাতেই নাকি ভূত সে বাড়িতে আর ঢুকত না। বলিউডের একটি জনপ্রিয় সিনেমায় এমন কাহিনি দেখা গিয়েছিল।

তবে তা ছিল নেহাতই সিনেমার কল্পকাহিনি। বাস্তবেও কিন্তু এমনই নানা বন্দোবস্ত দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মানুষ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে পরম বিশ্বাসে করোনা তাড়াতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন, কিন্তু সময়মত চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন না।

যেমন রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার ধাঁতরা ধনি গ্রামের মানুষ করোনা তাড়াতে বাড়ির সদর দরজায় ঝুলিয়ে রাখছেন জুতো। তাঁদের বিশ্বাস সদর দরজায় জুতো ঝুললে তাঁদের বাড়িতে করোনা কেন কোনও বদ আত্মা আর প্রবেশ করবেনা। তাঁদের পরিবার থাকবে সুরক্ষিত।

আবার আজমের জেলার লচ্ছিপুরা গ্রামের মানুষ সারারাত আগুন জ্বালিয়ে রাখছেন গ্রামের মধ্যে। রাত কাটার আগে তাঁরা আগুন নিভতে দিচ্ছেন না।

এখানে গ্রামবাসীদের বিশ্বাস আগুন এভাবে সারারাত টানা জ্বললে গ্রামের দেবতারা খুশি হবেন। তাঁদের করোনা থেকে রক্ষা করবেন।

আবার অনেক গ্রামের মানুষ দেখা যাচ্ছে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন না। যাচ্ছেন পুরোহিত বা ওঝার কাছে।

এক্ষেত্রে অবশ্য শুধুই গ্রামবাসীদের এই অন্ধ বিশ্বাসকে কাঠগড়ায় চাপালে হবেনা বলেই মনে করছেন অনেকে। রাজস্থানের অনেক গ্রামে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার মত ব্যবস্থাই নেই। নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রও, অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।

এসব অন্ধবিশ্বাসের ভরসা না করে করোনা হলে দ্রুত যাতে মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন সে বিষয়ে তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরি করতে প্রয়োজনীয় প্রচারও সরকারের তরফে হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk