ফাইল : পাটনায় করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, ছবি - আইএএনএস
দেশে করোনা সংক্রমণ এখন কিছুটা কমতে শুরু করলেও তার ভয়ংকর রূপ এখনও স্তিমিত হয়নি। তবে বৈজ্ঞানিকরা বলছেন দেশে দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়ের চূড়া স্পর্শ করা হয়ে গেছে। এবার আস্তে আস্তে নামবে সংক্রমণ। যদিও এদিন দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে।
১৪ এপ্রিলের পর গত মঙ্গলবার ২ লক্ষের নিচে নামে দৈনিক সংক্রমণ। মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে বুধবার তা ফের ২ লক্ষের ওপর চলে গেল।
এদিন দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা হয়েছে ২ লক্ষ ৮ হাজার ৯২১ জন। এদিন দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৯৫ জন।
এদিন ২২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩২০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। দেশে এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় প্রায় ২ লক্ষ বেশি হয়েছে। এদিন রেকর্ড সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হল দেশে। যা আগে কখনও হয়নি।
এদিকে দেশে গত একদিনে মৃত্যু ফের বেড়েছে। যুক্তিটা সেই একই। মহারাষ্ট্রে মৃত্যু বাড়লেই দেশের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেশে এদিন মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৫৭ জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৩৮৮ জন। মৃত্যুর হার ১.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.১৫ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে গত একদিনে মৃত্যু ফের বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ জনের। এছাড়া দিল্লিতে ১৫৬ জনের, উত্তরপ্রদেশে ১৫৭ জনের, কর্ণাটকে ৫৮৮ জনের, রাজস্থানে ১০৫ জনের, পঞ্জাবে ১৭৪ জনের, তামিলনাড়ুতে ৪৬৮ জনের, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০৬ জনের, বিহারে ১০৪ জনের ও পশ্চিমবঙ্গে ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুতে ২ অঙ্কে দাঁড়িয়ে দেশের অনেক রাজ্য।
দেশে এদিনও অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে। দেশে অ্যাকটিভ রোগী এদিন কমেছে ৯১ হাজার ১৯১ জন। দেশে এখন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৯১ জন। দেশে এখন কমে ৯.১৯ শতাংশ হয়েছে অ্যাকটিভ রোগীর হার।
এদিকে দেশে সংক্রমিতের চেয়ে এদিন সুস্থ হয়ে হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি। গত একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৫৫ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৬৬ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা