ঘটনাস্থলে মেডিক্যাল টিম, ছবি - আইএএনএস
গ্রামে দেহ আনার পরই আত্মীয় পরিজনরা ভিড় জমান দেহ ঘিরে। শোকে কান্নাকাটি তো চলছিলই, সেইসঙ্গে দাবি করা হচ্ছে করোনায় মৃত্যুর পর দেহ প্যাকেটবন্দি করেই আনা হয়েছিল। কিন্তু তা পরিজনেরা খুলে ফেলেন।
দেহ প্যাকেট থেকে বাইরে বার করে আনা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, করোনা বিধি মানা হয়নি। অনেকেই দেহতে হাত দেন। পরে তা কবর দেওয়া হয়।
পরিবারের প্রায় ১৫০ জন মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দেহ আনা হয়েছিল গুজরাট থেকে। কবর দেওয়া হয় রাজস্থানের খীরবা গ্রামে।
গুজরাট থেকে যেভাবে করোনায় মৃতের দেহ আনা হয় তাও করোনা বিধি শিকেয় তুলে। তারপরই দেখা গেছে যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই সেদিন কবর দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।
যদিও স্থানীয় মহকুমা শাসকের দাবি ২১ জনের করোনায় মৃত্যু হয়নি। এঁদের মধ্যে ৪-৫ জনের করোনায় মৃত্যু হলেও বাকিরা বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবারের ১৪৭ জন সদস্যের সকলের করোনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এই পরীক্ষার ফল দেখলেই বোঝা যাবে কবর দেওয়ার দিন গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা