National

গর্ভে ৪ সন্তান, বাঘিনীর সামনের থাবা কাটা দেহ মিলল জঙ্গলে

সামনের থাবা ২টো কাটা। এই অবস্থায় এক বাঘিনীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য চরমে উঠেছে। এমন ভয়ংকরভাবে বাঘ হত্যার ঘটনা কয়েক বছরে দেখা যায়নি।

গহন অরণ্য বলতে যা বোঝায় ঠিক তাই হল মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমল এলাকার পান্ধারখাওয়াদা জঙ্গল। এ জঙ্গলে বাঘ রয়েছে অনেক। সেই জঙ্গলের মধ্যেই এক জায়গায় এক বাঘিনীর দেহ উদ্ধার হয় গত রবিবার।

যে দেহ দেখে কার্যত আঁতকে ওঠেন বন কর্মীরা। নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় ওই গর্ভবতী বাঘিনীকে। যার গর্ভ থেকে ৪টি ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বন কর্মীরা জানিয়েছেন, বাঘিনীটি আর কদিনের মধ্যেই সন্তান প্রসবের অবস্থায় ছিল। তাই সে একটি গর্ত খুঁজে বার করেছিল যেখানে সে তার হবু সন্তানদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে।

সেখানেই থাকছিল সে। যা চোরাশিকারিদের নজরে পড়ে যায়। গর্তটিতে ঢোকা বার হওয়ার একটিই ছোট মুখ ছিল। যা তারা পাথর ও কাঠের টুকরো দিয়ে প্রথমেই বন্ধ করে দেয়। এরফলে বাঘিনী ওই অপরিসর গর্তে আটকে পড়ে।

গর্তে প্রায় দমবন্ধ অবস্থা হয় বাঘিনীর। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার সারা গায়ে বাঁশের ধারালো মুখ বা ধাতব রড দিয়ে খোঁচানো হয়েছিল। তার সারা গায়ে খোঁচানোর রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে।

অবশেষে মৃত বাঘিনীকে চোরাশিকারিরা গর্ত থেকে টেনে বার করে তার সামনের থাবা ২টি কেটে নেয়। বাঘের সামনের থাবার নখের জন্যই চোরাশিকারিরা এমন নির্মমভাবে বাঘিনীটিকে হত্যা করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবেশকর্মীরা সোচ্চার হয়েছেন। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে চাইছেন বন কর্মীরাও। কারণ তাঁরাও মেনে নিচ্ছেন গত কয়েক বছরে কোনও বাঘকে এমন নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More