ফাইল : অতিমারি পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে পঠনপাঠন, ছবি - আইএএনএস
নয়াদিল্লি : বদ্ধ ঘরে, কৃত্রিম পরিবেশে আবদ্ধ হয়ে নয়। সবুজের সমারোহে শান্ত প্রকৃতির মাঝে শিশুরা যদি পড়াশোনা করে তাহলে তারা আরও ভালো ভাবে শিক্ষালাভ করতে পারবে। এমনটাই মনে করতেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথাগত শিক্ষার একঘেয়ে রুটিনের বেড়াজালে আবদ্ধ হওয়া পছন্দ ছিলনা তাঁর। তাই স্বপ্নে দেখা আদর্শ বিদ্যালয়কে বাস্তবের মাটিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যাতে ছাত্রছাত্রীরা প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে শিক্ষালাভ করতে পারে।
বিশ্বকবির এই ভাবনাকে সমর্থন করেন বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রের সাথে যাঁরা যুক্ত আছেন তাঁরাও। নয়াদিল্লি পুরসভাও চালু করতে চলেছে একটি প্রকল্প ‘সৃষ্টি’। কবিগুরুর ভাবনাকেই পাথেয় করেছে এই প্রকল্প।
এই প্রকল্পের অন্তর্গত বিদ্যালয়গুলিতে গড়ে তোলা হবে প্রাকৃতিক ক্লাসঘর। সেখানে দেখা যাবে ভেষজ গাছপালার সমাহার। তৈরি হবে উদ্যান। যেখানে থাকবে তুলসী, মৌরি, রোজমেরি, লেমন গ্রাস, অ্যালোভেরার মতো সুগন্ধি ও ভেষজ গাছের সারি।
চারিদিক থাকবে খোলামেলা। যেখানে ক্লাস হবে সেখানে মাথায় ছাউনি দেওয়া থাকবে। সেটাই কার্যত ক্লাসঘর। সেখানে বসেই পড়াশোনা করবে ছাত্রছাত্রীরা।
এনডিএমসি-র ডিরেক্টর অফ এডুকেশন ডি পি সিং জানিয়েছেন, এই প্রয়াস শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষালাভ করতে ও জ্ঞান অর্জন করতেই সাহায্য করবে তা নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক ও সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতেও সাহায্য করবে।
একঘেয়ে বদ্ধ পরিবেশে বসে পড়াশোনা করা অনেক ক্ষেত্রেই অসহ্য হয়ে ওঠে ছাত্রছাত্রীদের কাছে। তারা অনেক সময় ঠিক করে মনঃসংযোগও করতে পারে না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকৃতি সম্পর্কে যেমন তাদের জ্ঞানলাভ হবে তেমনই পড়াশোনায় মনঃসংযোগও বাড়বে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
সেইসঙ্গে সবুজের কাছাকাছি আসাটা পড়ুয়াদের শরীর ও মনকে তাজা রাখবে। যা তাদের অধ্যয়নকে আরও সুফলদায়ক করে তুলতে পারবে।
চেনা ক্লাসঘরের বাইরে এমন এক অন্য পরিবেশে পড়াশোনা তাদের পড়ার প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা