করোনার দাপট তীব্র, একদিনে ৮১ হাজার পার সংক্রমণ

নয়াদিল্লি : এপ্রিলের শুরুতেই দেশ করোনা সংক্রমণের লাফ দেখছে। মাত্র ২ দিনেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। এপ্রিলের দ্বিতীয় দিনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে দেশে ৮১ হাজার পার করল একদিনে সংক্রমণ। এখন হুহু করে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। এদিন সংক্রমিত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪৬৬ জন।

মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ছত্তিসগড়, গুজরাট, কেরালা তো বটেই এখন কর্ণাটক, তামিলনাড়ু সহ অন্য রাজ্যেও বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় দেশে ক্রমশ অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে ১ লক্ষের নিচে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে বাড়তে বাড়তে তা এখন প্রায় ৬ লক্ষ পার করেছে। এদিন নমুনা পরীক্ষা গত দিনের তুলনায় সামান্য কমেছে। ১১ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৬৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এদিন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রতি ২ দিনে ১ লক্ষ পার করছে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা এদিনও সংক্রমিতের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। ফলে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

এদিন দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ পার করে গেছে। দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৯৬ জনে। একদিনে বেড়েছে ৩০ হাজার ৬৪১ জন। এদিকে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অ্যাকটিভ রোগীর শতাংশের হারও ফের বেড়েছে। বেড়ে ৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে।

এপ্রিল শুরুই হয়েছে সাড়ে ৪০০ পার করা দৈনিক করোনায় মৃত্যু দিয়ে। গত একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬৯ জনের। এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯৬টি। মৃত্যুর হার ১.৩৩ শতাংশে রয়েছে।

গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে একদিনে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। রাজ্যে গত দিন ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। পঞ্জাবে ৫৮ জনের। কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তামিলনাড়ুতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিসগড়ে ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়।

করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করায় দৈনিক সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা দৈনিক সংক্রমিতের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ হাজার ৩৫৬ জন।

এর হাত ধরে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৯ জন। সুস্থতার হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৬৮ শতাংশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা