National

দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ

খোদ দিল্লির বুকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। যা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। তবে বিস্ফোরণে কারও মৃত্যু হয়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Published by
News Desk

নয়াদিল্লি : সবে প্রজাতন্ত্র দিবস পার করেছে। তারপরই দিল্লির বুকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গেল। শুক্রবার বিস্ফোরণটি হয় দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে।

তবে বিস্ফোরণের মাত্রা খুব বেশি ছিলনা। যার ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। তবে এমন এক বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান ও দিল্লির পুলিশ কমিশনার।

দিল্লির মত জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো কীভাবে সম্ভব হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে সুরক্ষা বন্দোবস্ত নিয়েও। দিল্লির ব্যস্ত রাস্তা এপিজে আবদুল কালাম রোড-এ বিস্ফোরণটি হয় শুক্রবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে।

প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটিয়ে ৫টা ১১ মিনিটে বিস্ফোরণের কথা জানিয়ে দমকলে ফোন যায়। দ্রুত দমকল হাজির হয় ঘটনাস্থলে। হাজির হয় পুলিশ। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলা হয়।

বিস্ফোরণে ঠিক কী ব্যাবহার করা হয়েছে তা পরিস্কার নয়। তা এখনও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর বিস্ফোরণস্থলে হাজির হয় ফরেনসিক দল।

বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক আধিকারিকরা। অন্যদিকে পুলিশ জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা বোমাটি সেখানে রেখে গেল তা জানতে স্থানীয় সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বুকে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে এক ইজরায়েলি কূটনীতিকের স্ত্রী আহত হন।

সেই ঘটনায় সৈয়দ মহম্মদ আহমেদ কাজমি নামে এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। তবে যে ব্যক্তি বাইকে করে এসে বোমা রেখে যায় তাকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

তারপর এই ২০২১ সালের শুরুতে ফের বিস্ফোরণ দেখল দিল্লি। কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই ঘটনার পিছনে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিস্ফোরণের মাত্রা কম হওয়ায় পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk