ফাইল : করোনা পরীক্ষা, ছবি - আইএএনএস
নয়াদিল্লি : ডিসেম্বরের শুরুতে টানা ৩০ হাজারি ঘর এবং পরে ২০ হাজারি ঘরে নেমে আসে দৈনিক সংক্রমণ। নতুন বছরের প্রথম দিনে ২০ হাজার ৩৫ জন নতুন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছিল। তারপর থেকে সংক্রমিতের সংখ্যা ধাপে ধাপে নামছে।
গত ৫ দিনই ক্রমশ নিচে নেমেছে সংক্রমণ। তবে গত একদিনে একটু বেড়েছে সংক্রমণ। দেশে সংক্রমিত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৮ জন। দেশে ৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৪০৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে এক লক্ষের ওপর বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা।
রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে এখন ১ কোটি ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৩২ জনে দাঁড়িয়েছে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা। এদিন ফের সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের চেয়ে বেশি হয়েছে।
যারফলে দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৪৬ জনে। একদিনে কমেছে ৩ হাজার ৪৯০ জন। দেশে এখন করোনা অ্যাকটিভ রোগীর হার দাঁড়িয়েছে ২.১৯ শতাংশ।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দৈনিক ৪০০-র ঘরে, তারপর ৩০০-র ঘরে এবং পরে নেমে ২০০-র ঘরে চলে আসে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। নতুন বছরে ২০০-র ঘরেই রয়েছে মৃত্যু। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৬৪ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা দেড় লক্ষ পার করে গেছে। দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ১১৪ জন। ১.৪৫ শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে দেশে।
এদিকে গত একদিনে দেশে রাজ্য ভিত্তিক যে মৃতের সংখ্যার খতিয়ান সামনে এসেছে তাতে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। ছত্তিসগড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১ হাজার ৩১৪ জন।
যার হাত ধরে দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটির দরজায় পৌঁছে গেছে। এদিন দাঁড়িয়েছে ৯৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৭২ জনে। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা