National

৫০০ টাকার বৃষ্টি করল বাঁদর, টাকা কুড়োতে মানুষের ঢল

একের পর এক ৫০০ টাকার নোট উড়ে আসছে নিচে। গাছের ওপর বসা বাঁদর নোটের বৃষ্টি করছে। আর নিচে সেই টাকা কুড়োতে মানুষের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।

Published by
News Desk

সীতাপুর (উত্তরপ্রদেশ) : গাছের মগ ডালের কাছে পৌঁছে বেশ আয়েশ করে বসে সে। হাতে একটা ব্যাগ। গাছের ডালে বসে ব্যাগের চেন খোলে ধীরে সুস্থে। তারপর ব্যাগে থাকা টাকার বান্ডিল থেকে একটা একটা করে ৫০০ টাকার নোট বার করে উড়িয়ে দিতে থাকে। এই খেলায় মেতে ওঠে বাঁদরটা।

এদিকে গাছের ওপর থেকে বাঁদর ৫০০ টাকার বৃষ্টি করছে। এই খবর ছড়াতে আর কতক্ষণ লাগতে পারে। দ্রুত সেখানে মানুষের ভিড় জমে যায়। যিনিই সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনিই হাজির হয়ে যান টাকা কুড়োতে। এরমধ্যেই এক ব্যক্তিকে দেখা গেল কাকুতি মিনতি করতে।

টাকার ব্যাগটা ফেরত চেয়ে বাঁদরের পায়ে পড়ার যোগাড় তখন তাঁর। বয়স্ক মানুষটাকে বাঁদরের দিকে চেয়ে এমন করতে দেখে আশপাশের মানুষ টাকা কুড়নো বন্ধ করে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন।

তারপর পুরো বিষয়টি জেনে কয়েকজন গাছে উঠে পড়েন টাকার ব্যাগ উদ্ধার করতে। কিন্তু বাঁদরও ছাড়বার পাত্র নয়। সেও ঠিক করেছে ব্যাগ সে দেবেনা।

শুধু কি টাকা উড়িয়ে দেওয়া! ওই বাঁদর যে নোটটা ইচ্ছে হচ্ছে ছিঁড়ে তারপর ওড়াচ্ছে আকাশে। ফলে গোটা নোটের সঙ্গে টুকরো নোটও উড়ে আসছে নিচের দিকে।

এদিকে ভগবান দিন নামে ওই বৃদ্ধ টাকার ব্যাগ ফেরত পেতে অনেকগুলো কলা নিয়ে এসে বাঁদরকে দেখাতে থাকেন। যাতে সে কলার লোভে নেমে এসে ব্যাগটা অন্তত দিয়ে যায়। কিন্তু বাঁদর কলাতেও ভোলার নয়।

যে ২-৩ জন গাছে উঠে ব্যাগ উদ্ধারের চেষ্টা করেন তাঁদের চেষ্টাও বিফলে যায়। বাঁদর দ্রুত তাঁদের নাগাল থেকে দূরে গিয়ে অন্য ডালে বসে। ব্যাগ অবশ্য তার সঙ্গেই ছিল।

এমন করেই চলে প্রায় ১ ঘণ্টা। এর মধ্যে আশপাশ থেকেও বহু মানুষ জড়ো হয়ে গেছেন সেখানে। অবশেষে ১ ঘণ্টা এমন চলার পর কী মনে করে বাঁদরটি ব্যাগ ছুঁড়ে দেয় নিচে।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলার বিকাশ ভবন রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে। ভগবান দিন নামে ওই বৃদ্ধ জানান তিনি একটি সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করাতে ৪ লক্ষ টাকা ওই ব্যাগে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রেজিস্ট্রি অফিসে।

রেজিস্ট্রি অফিসের বাইরেই তাঁর হাত থেকে ওই ব্যাগ আচমকা কেড়ে নিয়ে গাছে চড়ে যায় একটি বাঁদর। তারপর এ গাছ ওগাছ ঘুরতে থাকে ব্যাগ নিয়ে। আর সেই ব্যাগ ফেরত পেতে বৃদ্ধও তার পিছন পিছন ঘুরতে থাকেন।

সব কথা জানার পর যাঁরা টাকা কুড়িয়েছিলেন তাঁরা সব টাকা বৃদ্ধকে ফেরত দিয়ে দেন। কিন্তু যে টাকাগুলো কুচিয়ে ফেলেছিল বাঁদরটি সে টাকা আর ফেরত পেলেন না ভগবান দিন। তাঁর দাবি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কুচিয়ে ফেলেছিল বাঁদরটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk