National

নির্ভীক সাংবাদিককে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা

এক সাংবাদিককে পুড়িয়ে হত্যা করল দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিককে।

Published by
News Desk

বলরামপুর (উত্তরপ্রদেশ) : গ্রামের প্রধান ও তাঁর ছেলের নানা দুর্নীতি নিয়ে তিনি লিখে যাচ্ছিলেন। একের পর এক দুর্নীতির মুখোশ খুলে দিচ্ছিলেন। সত্যকে তুলে ধরার দাম দিতে হল তাঁকে। তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এমনটাই জানিয়ে গেলেন সাংবাদিক রাকেশ সিং নির্ভীক।

তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর এক বন্ধুকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১ জন গ্রাম প্রধানের ছেলে।

পুলিশ জানাচ্ছে বছর ৩৭-এর রাকেশ ও তাঁর বন্ধু ৩৪ বছরের পিন্টু সাহু রাকেশের বাড়িতেই ছিলেন। তখনই আচমকা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে আসে ৩ জন। এদের মধ্যে ১ জন গ্রাম প্রধানের ছেলে রিঙ্কু মিশ্র। অন্য জন আক্রম। তার বিরুদ্ধে আগেই খুনের মামলা রয়েছে। আর ছিল তাদের বন্ধু ললিত মিশ্র।

এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে রাকেশের বাড়িতে ঢুকে তারা রাকেশ ও পিন্টু-র গায়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঢেলে দেয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার মানে তাতে বড় অংশ অ্যালকোহল। যা প্রবলভাবে দাহ্য।

এখন করোনাকালে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বস্তুটি মানুষকে করোনা থেকে বাঁচাচ্ছে। কিন্তু এখনে এটাই ব্যবহার হল মানুষকে হত্যা করার জন্য। হ্যান্ড স্যানিটাইজার গায়ে ঢেলে দেওয়ার পর তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। রাকেশ ও পিন্টু দাউদাউ করে জ্বলতে থাকেন।

ঘটনাস্থলেই পিন্টু সাহুর মৃত্যু হয়। রাকেশ সিং নির্ভীক তখনও বেঁচে ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে তিনি তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়ে যান।

ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার। তার ৩ দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউ শহর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে বলরামপুর গ্রামে।

রাকেশ লখনউয়ের একটি সংবাদপত্রে সাংবাদিক হিসাবে কাজ করতেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরলামপুরের মানুষের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ জমা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk