National

সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ

রিপাবলিক টিভি-র চিফ এডিটর সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বাড়ি থেকেই বুধবার সকালে অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ।

Published by
News Desk

মুম্বই : পুরনো একটি মামলা নতুন করে খুলে সেই মামলার প্রেক্ষিতে রিপাবলিক টিভি-র চিফ এডিটর সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ২০১৮ সালে আত্মহত্যায় প্ররোচনার একটি মামলা পরে বন্ধ হয়ে যায়। সেই মামলাই নতুন করে খোলা হয়েছে। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার সকালেই অর্ণববাবুর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তারপর সেখান থেকেই এই বিশিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ অর্ণব গোস্বামীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তাঁদের পারিবারিক বাধার মুখে পড়তে হয়। তবে সে বাধা কাটিয়েই পুলিশ অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করে।

অর্ণব গোস্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে এসেছে এ খবর পাওয়া মাত্র অর্ণব গোস্বামীর সহকর্মীরা এই ঘটনার লাইভ কভারেজ করতে ছোটেন।

অর্ণব গোস্বামীর চ্যানেলের তরফে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়। তাদের দাবি অর্ণব গোস্বামী একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে দুষ্কৃতির মত ব্যবহার করা হয়।

তাঁর চুলের মুঠি ধরে পুলিশ। তাঁকে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ ভ্যান পর্যন্ত। খাবার জলটুকু খেতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। এমনই দাবি করেছে চ্যানেল। ২০-৩০ জন পুলিশকর্মী তাঁকে ঘিরে নিয়েছিল।

অর্ণব গোস্বামীকে ভ্যানে তোলার পর তিনি নিজেও জানান তাঁকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। তাঁর সহকর্মীরা ন্যায়বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

অর্ণব গোস্বামী ভ্যান থেকেই দাবি করেছেন তাঁকে লাঞ্ছনার পাশাপাশি তাঁর ছেলেকে মারধরও করেছে পুলিশ। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এটা সরাসরি সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ ব্যবহার মানা যায়না।

মন্ত্রী এই ঘটনাকে জরুরি অবস্থার সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হত তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি দাবি করেন জরুরি অবস্থার মত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ব্যবহার করছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk