ফাইল : হিমাচল প্রদেশের কুফরিতে তুষারপাত, ছবি - আইএএনএস
সিমলা : অক্টোবর মাসের শেষ। বিজয়াদশমীর দিন। আর এদিনই প্রথম তুষারপাত দেখল কেলং। শীত এল দেশে। সাদা বরফের ধারাপাত মন ভাল করে দিল এলাকাবাসীর।
এখনও নভেম্বর পড়েনি। তার আগেই হেমন্তের শুরুতে শীত এল হিমাচল প্রদেশের কেলং-এ। লাহুল স্পিতি-র মধ্যেই পড়ছে কেলং। পার্বত্য এই এলাকায় শীত অবশ্য আগেই পড়েছে জাঁকিয়ে। এদিন শুরু হল তুষারপাত।
মরসুমের প্রথম তুষারপাত। বিজয়াদশমীর দিনই উত্তর ভারত থেকে তুষারপাতের খবর বড় একটা পাওয়া যায় না। এবার সেই খবর মিলল পুজো দেরিতে হওয়ায়।
এমন সময় অনেক বছর কালীপুজো, ভাইফোঁটাও শেষ হয়ে যায়। অথবা কালী পুজোর মুখে মুখে সময় এটা। এবার আশ্বিন মল মাস হওয়ায় কার্তিক মাসে হল দুর্গাপুজো।
কেলং-এ সোমবার সাতসকালেই তুষারপাত শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ তুষারপাত চলে। চারধার সাদা তুষারে ঢাকা পড়ে। এমন একটা মুহুর্ত দীর্ঘ দিন পর দেখা গেল। ফের শীত পড়ল পাহাড়ে।
স্থানীয় মানুষজন এখানে আলু ও কিছু অচিরাচরিত সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। এমন কিছু ফসল তাঁরা ফলান যা সাধারণভাবে সর্বত্র তৈরি হয়না। তারজন্য ওই আবহাওয়া বিশেষভাবে কাজে দেয়। তাই এই ঠান্ডা ফেরত আসায় তাঁদের মুখে আনন্দের হাসি। এদিন কেলং-এর তাপমাত্রার পারদ নামে মাইনাস ১ ডিগ্রিতে।
হিমাচলের রাজধানী শহর সিমলা ও মানালিতে প্রধানত শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্যের পার্বত্য এলাকাগুলি, যেগুলি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উপরে সেখানে তুষারপাত হবে আগামী ২৪ ঘণ্টায়। লাহুল স্পিতি, কুলু, চাম্বা, সিমলা, সিরমৌর এবং কিন্নর জেলার পাহাড়ের উপরের দিকে তুষারপাত হবে।
এদিন হিমাচলে সবচেয়ে নিচে নেমেছে কেলং-এর পারদ। এছাড়া কল্পা-র পারদ নামে ২.৭ ডিগ্রিতে। মানালিতে পারদ ছিল ৪.২ ডিগ্রিতে। ধর্মশালাতে সর্বনিম্ন পারদ ছিল ১১.৬ ডিগ্রি। সিমলায় ছিল ১১.১ ডিগ্রি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে গত ১ সপ্তাহে শুকনো আবহাওয়াই থাকবে রাজ্য জুড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা