National

চোরকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিল সঙ্গী চোর, দেহ উধাও করল সুরক্ষাকর্মী

অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটে গেল। এক চোরকে স্কুলের ছাদ থেকে ধাক্কা দিল সঙ্গী চোর। আর দেহ উধাও করল সুরক্ষাকর্মী।

Published by
News Desk

নয়াদিল্লি : তখন গভীর রাত। চারিদিক নিস্তব্ধ। এটাই চোরদের আদর্শ সময়। ২ যুবক বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়। উদ্দেশ্য স্থির করাই ছিল। কাছের একটি স্কুলের চত্বরে ঢুকে মার্কারি আলো চুরি করবে বলে স্থির করেছিল তারা।

রাতের অন্ধকারে পাঁচিল টপকে তারা স্কুলের চত্বরে ঢুকেও পড়ে। তারপর পরিকল্পনামত চুরি করে রাস্তায় লাগানোর মার্কারি আলো। চুরি সম্পূর্ণ করে ২ চোর তখন স্কুলের ছাদে দাঁড়িয়ে। তখনই তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া।

পারদ চড়ে ঝগড়ার। আর তার ফল হয় মারাত্মক। এক চোর রাগের মাথায় ধাক্কা মারে অন্য চোরকে। ধাক্কা খেয়ে ওই যুবক সোজা স্কুলের ছাদ থেকে আছড়ে পড়ে মেঝেতে। যে ধাক্কা মেরেছিল সেই নুর বুঝতে পারে সে কি কাণ্ডটা করেছে। ফলে ভয়ে সে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।

এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কেটে যায়। এরমধ্যেই ক্রমশ একটা উৎকট গন্ধ এলাকা জুড়ে প্রকট হতে থাকে। একসময় অসহ্য হয়ে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে পৌঁছে যায় স্কুলের নোংরা জলের ট্যাঙ্কের কাছে। এখান থেকে জল নিকাশি নালায় পৌঁছে যায়।

সেখানে খোঁজ করতে আঁতকে ওঠেন পুলিশকর্মীরা। দেখেন একটি গলতে থাকা দেহ পড়ে আছে সেখানে। পুলিশ জানতে পারে দেহটি আলম নামে এক যুবকের।

তার বাড়ির খোঁজ করে সেখানে পোঁছে পুলিশ জানতে পারে আলম বেশ কিছুদিন হল বেপাত্তা। তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল নুর নামে তারই এক সঙ্গীর সঙ্গে।

এবার নুরকে খুঁজতে শুরু করে অবশেষে তার নাগাল পায় পুলিশ। নুরকে জেরা করতেই সে জানায় পুরো ঘটনা। তবে সে এটাও জানায় যে সে ধাক্কা মারার পর জানেনা কী হয়েছিল।

পুলিশ আরও তদন্ত করতে গিয়ে দেখে দেহ যখন পাওয়া যায় তখন যে প্যাকেটটি তার গায়ে জড়ানো ছিল সেটি স্কুলের মালপত্র আনার প্যাকেট। যা স্কুলেরই একটি ঘরে মজুত করা থাকে। যে ঘরের চাবি থাকে স্কুলের সুরক্ষাকর্মীরা কাছে। এবার পুলিশ পাকড়াও করে স্কুলের সুরক্ষাকর্মীকে।

পুলিশের চাপের মুখে দিল্লির খিচড়িপুর এলাকার এমসিডি স্কুলের ওই সুরক্ষাকর্মী জানান তিনি যখন দেহটি স্কুলের চত্বরে পড়ে থাকতে দেখেন তখন তিনি ভয় পেয়ে যান।

স্কুলের সুরক্ষা তাঁর হাতে। আর সেখানেই কিনা লাশ! তাই নিজের চাকরি বাঁচাতে তিনি ওই প্যাকেটে জড়িয়ে দেহটি স্কুলের নোংরা জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন। পুলিশ নুর ও ওই সুরক্ষাকর্মী ২ জনকেই গ্রেফতার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk