National

উঠল নিষেধাজ্ঞা, খুশি যোগী রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরা

উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের হাত ধরে এল সুখবর। দুর্গাপুজোর আগেই সুখবর এল সেখানে বসবাসকারী বাঙালিদের জন্য।

Published by
News Desk

লখনউ : তাঁর রাজ্যে বসবাসকারী ভাঙালিদের অবেদনে সাড়া দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাতে কম সময় থাকলেও তাই দুর্গাপুজোর আগে খুশি হাওয়া বাঙালিদের মনে। শারদ আনন্দের পালে হাওয়া দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়পত্র।

যোগী আদিত্যনাথ সরকার এর আগে জানিয়ে দিয়েছিল তাদের রাজ্যে করোনার কথা মাথায় রেখে কোনও দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল হবেনা। পুজো করতে হলে বাড়িতেই করতে হবে। বারোয়ারি হিসাবে নয়। যা নিয়ে ওই রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন করেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার।

কংগ্রেসও তোপ দাগে যদি রামলীলায় অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে কেন দুর্গাপুজোয় অনুমতি দেওয়া হচ্ছেনা? এটা বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ বলেও জানায় কংগ্রেস।

উত্তরপ্রদেশের অনেক বাঙালি সংগঠনও যোগী আদিত্যনাথের কাছে চিঠি দিয়ে নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানায়। চাপের মুখে অবশেষে যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দিল দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল করা যাবে। তবে করোনা বিধি মেনেই করতে হবে পুজো।

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু করে বিদেশের কোণায় কোণায় যেখানেই বাঙালিরা আছেন, সেখানেই তাঁরা জোট বেঁধে দুর্গাপুজো করেন।

ভারতে দুর্গাপুজো করতে প্যান্ডেলের চল দীর্ঘদিনের। পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, এমনকি মুম্বই, দিল্লি সহ দেশের কোণায় কোণায় বাঙালিরা দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকেন। সেখানে পুজো হয়। প্যান্ডেল বেঁধেই পুজো হয়।

বাগবাজার সার্বজনীনের মাতৃপ্রতিমা, ছবি – আইএএনএস

এ রাজ্যে এবার করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো নিয়ে স্পষ্ট গাইডলাইন দিয়ে দিয়েছে রাজ্যসরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে প্যান্ডেল করে পুজো করায় অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বাঙালিরা এবার আয়োজনের প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহুর্তে প্যান্ডেল করে পুজো করতে গিয়ে ধাক্কা খান।

উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়ে দেয়ে তাদের রাজ্যে প্যান্ডেল বেঁধে দুর্গাপুজো করা যাবেনা। দুর্গাপুজো করতে হয় তো বাড়িতেই পুজো করতে হবে।

যদিও যোগী সরকার রামলীলায় আপত্তি জানায়নি। শুধু জানিয়ে দিয়েছে রামলীলা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে ১০০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতি চলবে না। আর এখানেই কংগ্রেস ক্ষোভ উগরে সোচ্চার হয়।

কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জিতিন প্রসাদকে। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কোণায় বসবাসরত বাঙালিদের জন্য এটা বৈষম্যমূলক আচরণ। রামলীলায় আপত্তি নেই। কিন্তু দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে আপত্তি জানাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম প্রশ্ন কিন্তু তুলেছিলেন এক বিজেপি সাংসদই। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ট্যুইট করে জানান উত্তরপ্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অন্যায় ও অযৌক্তিকর, এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলকও।

বিভিন্ন মহল থেকে চাপের মুখে অবশেষে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ছাড়পত্র ছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk