বাবরি মামলার রায়কে স্বাগত জানালেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ছবি - আইএএনএস
লখনউ : বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৮ বছর অতিবাহিত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর ওই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গেছে। এদিকে সে সময় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে কেন্দ্র করে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যে তালিকা ছিল বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশীর মত নাম।
তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছিল সেসময়। গ্রেফতারও হন লালকৃষ্ণ আডবাণীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ মোট ৮টি ধারায় মামলা হয়েছিল।
বুধবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত সেই ২৮ বছরের পুরনো মামলার রায় দিল। অভিযুক্তদের মধ্যে জীবিত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করে আদালত।
আদালত লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী সহ ৩২ জনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব জানান, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে এঁরা উস্কানি দিয়েছিলেন এমন যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ মেলেনি। ওইদিনের ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র ছিলনা। পুরো ঘটনাটি ছিল তাৎক্ষণিক। স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সেদিন।
লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, কল্যাণ সিং সহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে ওই ঘটনা আগে থেকে পরিকল্পনা করে করা হয়েছিল। যাঁরা ভেঙেছিলেন তাঁরা ভাঙার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে এনেছিলেন। কিন্তু আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে এমন কোনও অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।
আদালত আরও জানিয়েছে, ওইদিন বরং যে নেতৃত্ব ওখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা উত্তেজিত মানুষজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা যাতে কোনও হিংসার পথ না নেন।
আদালত আরও জানিয়েছে, সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
বিচারক আরও জানিয়েছেন, সেদিন যারা বাবরি মসজিদের গম্বুজের ওপর উঠে তাণ্ডব করে তারা সকলেই সমাজবিরোধী।
এদিকে এদিন রায় বার হওয়ার পর আদালতে অভিযুক্তদের মধ্যে উপস্থিত ২৬ জন দাবি করেন সেদিনের পুরো ঘটনাই ছিল তখনকার কংগ্রেস সরকারের ষড়যন্ত্র।
এদিন আদালতের সামনে হাজির ছিলেন বহু মানুষ। রায় সামনে আসার পরই তাঁরা আনন্দে মেতে ওঠেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা