National

কিশোরী প্রেমিকার শোকে মরণ ঝাঁপ, পরে নিজেই জানলা ধরে বাঁচলেন ২ সন্তানের পিতা

Published by
News Desk

মুম্বইয়ে সবই কী সিনেম্যাটিক? প্রশ্নটা জাগতেই পারে। কারণ দাদর এলাকায় বাস্তবেই এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা দেখে সকলে হাসবেন না রাগবেন তা ঠিক করে উঠতে পারছেননা। দাদর পুলিশ স্টেশনে খবর আসে প্রভাদেবী এলাকায় এক কিশোরী ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পেশায় পরিচারিকা ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এমন সময় খবর আসে পাশের একটি বহুতল থেকে এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। তদন্ত ফেলে পুলিশ ছোটে তাঁকে বাঁচাতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ১২ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিচে পড়ার সময় কিছু মনে হওয়ায় হাঁকপাঁক করে একটি জানলা ধরে ঝুলে পড়েন। ঝাঁপ দিলও পড়ার সময়ে আতঙ্ক গ্রাস করায় জানলা ধরে ঝুলে পড়লেও এবার নিশ্চিত করে ঝাঁপ দেওয়ার ভয় দেখাতে থাকেন গণেশ নামে ওই ব্যক্তি।

পুলিশ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে। বোঝাতে থাকেন অন্যরাও। নিয়ে আসা হয় গণেশের স্ত্রী, মেয়ে ও পুত্রকে। তারাও বোঝাতে থাকে। কিন্তু গণেশ নাছোড়। সে আত্মহত্যা করবেই। পুলিশ জানতে চায় কেন তিনি এমন পদক্ষেপ করতে চাইছেন? তখনই গণেশ জানান, সোনালি নামে যে কিশোরী পাশের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে তার বান্ধবী ছিল। স্ত্রী, সন্তানের সামনেই গণেশ সাফ জানান সোনালিকে ছাড়া তিনি বাঁচবেন না। তাই ফিনাইল খেয়ে নিয়েছেন তিনি। এবার বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে সোনালির কাছেই চলে যেতে চান তিনি।

এবার পুলিশের কেরামতি। পুলিশ আধিকারিক গণেশকে আশ্বস্ত করে জানান সোনালি ঝাঁপ দিয়েছিল, ঠিকই কিন্তু সে মরেনি। বেঁচে আছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। এই কথা শুনে আত্মহত্যা ক্যানসেল করে দমকলের পাতা জালে ঝাঁপ দেন প্রেমিক গণেশ। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান হয়। শেষ হয় ৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটক।

Share
Published by
News Desk