কোভিড-১৯, প্রতীকী ছবি
নয়াদিল্লি : সেপ্টেম্বরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সেপ্টেম্বর জুড়েই সংক্রমণ লাগাম ছাড়া ছুট লাগাচ্ছে। বিশ্বের করোনা বিধ্বস্ত সব দেশের চেয়েই এখন দৈনিক সংক্রমণে অনেক এগিয়ে ভারত।
বিশ্বের কোনও দেশে একদিনে ৮০ হাজার পার করেনি সংক্রমণ। ভারত অনেক দিন আগেই ৮০ হাজারের গণ্ডি পার করে গেছে। গত একদিনে আক্রান্ত ধরা পড়েছেন ৯২ হাজার ৬০৫ জন।
আগের দিন কম নমুনা পরীক্ষাতেই ৯৩ হাজার পার করেছিল একদিনে সংক্রমণ। এদিন তার চেয়ে ৪ লক্ষ বেশি নমুনা পরীক্ষাতেও সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় কমল। যা অবশ্যই সদর্থক খবর।
গত একদিনে দেশে ১২ লক্ষ ৬ হাজার ৮০৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে ৯২ হাজার পার করা একদিনে সংক্রমণের সংখ্যাকেও এদিন টপকে গেছে একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। ঠিক যেমনটা হয়েছিল আগেরদিন।
গত একদিনের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হাত ধরে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫৪ লক্ষ ৬১৯ জন। এদিন সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা সংক্রমিতের সংখ্যার থেকে বেশি হওয়ায় দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমেছে।
দেশে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এদিন দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ১০ হাজার ৮২৪ জন। গত দিনের চেয়ে ৩ হাজার ১৪০ জন কম।
গত কয়েকদিনে সংক্রমণ ৯০ হাজার পার করায় অনেকটা করেই বাড়ছিল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। গত ২দিনে ৯০ হাজারের ওপর সংক্রমণ রইল বটে, তবে কমল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
দেশে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন বাড়ছে করোনায় মৃত্যুও। মৃতের সংখ্যা ১ হাজারের ওপরই থাকছে প্রতিদিন। গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ জনের।
এদিনের মৃতের সংখ্যার হাত ধরে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৭৫২ জন। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা এখনও সবচেয়ে খারাপ। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৪২৫ জনের। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের। তামিলনাড়ুতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে ৫৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা রোগী ও মৃত্যু যেমন বেড়ে চলেছে তেমনই অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। গত একদিনে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৯৪ হাজারের ওপর রয়েছে। তার আগের দিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৫ হাজারের ওপর মানুষ।
একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যাকে এদিনও টপকে গেছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৪ হাজার ৬১২ জন। দেশে মোট করোনামুক্ত মানুষের সংখ্যা এদিন ৪৩ লক্ষ পার করে গেছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪৩ জন। দেশে সুস্থতার হার ৭৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা