National

চিতায় শোয়ানো দেহের মুখের কাপড় সরাতেই তড়িঘড়ি বন্ধ মুখাগ্নি

চিতায় শোয়ানো দেহের মুখের ওপর ঢাকা থাকা কাপড় সরাতেই হতবাক সকলে। তড়িঘড়ি বন্ধ হল মুখাগ্নি।

Published by
News Desk

মেরঠ (উত্তরপ্রদেশ) : চিতায় শোয়ানো হয়ে গেছে দেহ। বাকি তখন কেবল মুখাগ্নি। করোনায় মৃত্যু। তাই কাপড় সরানো মানা। তবু নাছোড় এক পরিজন। মুখাগ্নির আগে একবারটি শেষ দেখা দেখতে চান তিনি। একবারটি মুখের কাপড়টা সরাতে কাকুতি মিনতি করতে শুরু করেন কান্নায় ভেঙে পড়া ওই মহিলা। কিছুক্ষণ তাঁকে বোঝানো হয় করোনায় মৃত্যু। কাপড়ে হাত দেওয়া বা সরানো মুশকিল। কিন্তু তিনি নাছোড়। শেষ দেখা তিনি দেখবেনই। অগত্যা মৃতের মুখের ওপর থেকে সরানো হল কাপড়। আর তারপর যা হল তাকে কাহিনি বললেও কম বলা হয়।

মুখের কাপড় সরাতে যে মুখটির দেখা পাওয়া যায় তা তাঁদের বৃদ্ধ পিতা নন। বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। যাঁকে তাঁরা চেনেনই না! ছেলের এই দাবি মেনে নিয়েছেন সকলেই। যাঁকে তাঁরা তাঁদের পরিবারের মানুষ ভেবে সৎকার করতে যাচ্ছিলেন তিনি তাঁদের পরিবারের কেউ নন। তাঁকে তিনি চেনেনই না। তৎক্ষণাৎ বন্ধ করা হয় মুখাগ্নির তোড়জোড়। চিতা থেকে নামিয়ে ফেলা হয় দেহ। তারপর দেহ নিয়ে ফের হাসপাতালের দিকে রওনা হন সকলে।

দেহ বদল যে হয়েছে এবং তা হাসপাতালের গাফিলতিতে তা পরিস্কার হয়ে যায়। অন্য একটি পরিবার তাঁদের বাবাকে নিয়ে গেছেন এটা বুঝতে পারেন একজন। সেই পরিবারকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই পরিবার করোনায় মৃত বলে মুখের কাপড় না সরিয়েই সৎকার সেরে ফেলেছে ওই বৃদ্ধের। একটি কলসে মৃতের চিতাভস্ম নিয়ে তারা তখন বাড়ি ফিরছে। তারা ওই বৃদ্ধের সৎকার করলেও আসলে তাদের পরিজনের দেহ অপর পরিবার তখন চিতা থেকে নামিয়ে হাসপাতালের দিকে।

বৃদ্ধের পুত্রের অভিযোগ তাঁরা যখন হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি জানান তখন হাসপাতাল নিজেদের ভুল স্বীকার না করে উল্টে তাঁদের ওপরই চোটপাট করে। পরে তাঁরা তাঁদের বাবার চিতাভস্ম অন্য পরিবারের কাছ থেকে হাতে পান। তাঁরা ফের তাঁদের পরিজনের দেহ নিয়ে পাড়ি দেন শ্মশানের দিকে। ফের সৎকার করতে হবে। এবার অবশ্য দেহটি তাঁদের পরিজনের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk