হাসপাতাল, প্রতীকী ছবি
বাস্তি (উত্তরপ্রদেশ) : সাপ কী তাকে চিনে রেখেছে? কোনও পুরনো শত্রুতা? কখনও কি সে সাপটিকে মারার বা তাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করেছিল? তখন থেকেই কী তাকে চিনে রেখেছে বিষধর? তারপর থেকে প্রতিশোধ নিতে সুযোগ পেলেই ছোবল মারছে? এমন একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলছেন সকলে। কারণও রয়েছে। কারণ এক কিশোর দাবি করেছে তাকে একটিই সাপ এসে ছোবল মেরে যায়। মাত্র ১ মাসের মধ্যে ৮ বার সে বিভিন্ন সময়ে ওই একই সাপের ছোবল খেয়েছে। আবার এটাও আশ্চর্যের যে এক মাসের মধ্যে বিষধর সাপের ৮ বার ছোবল খেয়েও এখনও প্রাণে বেঁচে আছে ওই কিশোর।
গত একমাসে যতবার সে সাপের ছোবল খেয়েছে, ততবারই ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই যশরাজ মিশ্র নামে ওই কিশোরের পরিবার ওঝা ডেকে এর প্রতিকারের চেষ্টা করেছে। কারণ গ্রামে মানুষ সাপ থেকে রেহাই পেতে ওঝার ওপর অন্ধ ভরসা করে থাকেন। অবশ্য সাপ যে বাড়ি চিনে রেখেছে এমনটাও নয়। কেবল কিশোরকে চিনে রেখেছে বলে দাবি করেছে যশরাজের পরিবার।
যশরাজের বাবা জানিয়েছেন প্রথম ৩ বার ছোবল খাওয়ার পর যশরাজকে ওই সাপের হাত থেকে বাঁচাতে তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। যশরাজ উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা। আর আত্মীয়ের বাড়ি দূরে বাহাদুরপুর গ্রামে। কিন্তু সেখানেও তাকে গিয়ে ছোবল মেরে এসেছে ওই একই সাপ বলে দাবি করা হয়েছে।
যশরাজের পরিবার জানিয়েছে, ১৭ বছরের একটি ছেলে বাহাদুরপুর গ্রামেও ওই একই সাপকে তাদের বাড়ির সামনে দেখে অবাক হয়ে যায়। আপাতত পরিবারের তরফে যশরাজকে চিকিৎসকের কাছে যেমন দেখানো হচ্ছে, তেমনই ওঝার পরামর্শেও প্রতিকারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যশরাজের বাবা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে ১ মাসের মধ্যে ৮ বার ছোবল খাওয়ার পর এখন মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সে সারাক্ষণ ওই সাপের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। বাড়িতে সাপ তাড়াতে পুজোও করিয়েছে পরিবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা