National

যাদুঘরে রাখা মমি খোলা বাতাস পেল ১৩০ বছর পর

যাদুঘরে কাচের বাক্সের মধ্যেই তার জায়গা। ১৩০ বছর সেভাবেই থাকার পর অবশেষে খোলা বাতাসের আনন্দ অনুভব করল মমি।

Published by
News Desk

জয়পুর : ১৩০ বছর আগে মিশরের কায়রো থেকে আনা হয়েছিল মমিটি। এটি এক মহিলার মমি। তাঁর নাম ছিল তুতু। মিশরের প্রাচীন পোনোপোলিস শহরের বাসিন্দা ছিলেন তুতু। মমি এখনও মানুষকে আশ্চর্য করে। মমি চাক্ষুষ করার জন্য ছোট বড় সকলেই মুখিয়ে থাকেন। কলকাতার ভারতীয় যাদুঘরের মতই জয়পুরের অ্যালবার্ট হল যাদুঘরে এই তুতু-র মমি এক অন্যতম আকর্ষণ। সেই মমি ১৩০ বছর ধরে বাক্স বন্দি থাকলেও এবার সেই বাক্সের কাচ ভেঙে তাকে বার করে আনা হল। খোলা আকাশের নিচে জায়গা পেল তুতুর মমি। খোলা বাতাস পেল ১৩০ বছর পর।

জয়পুরে কদিন আগেই প্রবল বর্ষণ হয়েছে। ভেসে গেছে গোটা শহর। মরুরাজ্যে এমন এক ভয়ংকর বৃষ্টি স্বাভাবিক নয়। তাই তার মোকাবিলার প্রস্তুতিও নেই। জয়পুর যে এভাবে জলের তলায় চলে যেতে পারে ১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তাও কারও ধারণা ছিলনা। কিন্তু গোলাপি শহরে একটানা ১২ ঘণ্টা বৃষ্টি চলার পর গোটা শহরটাই ভেনিসের চেহারা নেয়। বহু বাড়িতে জল ঢুকে যায়। একতলায় থাকার অবস্থা ছিলনা অনেকের পরিবারেই।

একইভাবে অ্যালবার্ট হল মিউজিয়ামেও জল ঢোকে। কদিন আগেই তুতুর মমি একতলায় নামিয়ে আনা হয়েছিল। আর যাদুঘরের সেই একতলাই ৫ ফুট জলের তলায় চলে যায়। মমির কথা মাথায় রেখে ওই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই কর্মীরা এসে মমি সরানোর ব্যবস্থা করেন। যাদুঘরের তরফে জানানো হয়েছে জল যেভাবে বাড়ছিল তাতে আর কিছু মিনিট দেরি হলে মমিটি নষ্ট হয়ে যেত। জলে ভরে যেত মমির বাক্স। মমিটি বাক্স ভেঙে বার করে সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখেন যাদুঘরের কর্মীরা।

অ্যালবার্ট হল মিউজিয়াম জয়পুরের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান। সেই যাদুঘরের ওইদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কম্পিউটার, প্রিন্টার সহ অন্যান্য সামগ্রি আর কাজ করার অবস্থায় নেই। সব জলের তলায় ছিল। জলের তলায় ছিল প্রচুর নথি ও ফাইল। যার গুরুত্ব অপরিসীম। সেসব ফাইল ও নথি এখন খোলা জায়গায় ছড়িয়ে ছড়িয়ে শুকোনোর বন্দোবস্ত করেছে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ। আপাতত যাদুঘরে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনও হিমসিম খাচ্ছে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk