National

ভেসে যাচ্ছে প্রচুর বোতল, দেখেই নদীতে লাফ

প্রচুর বোতল ভেসে যাচ্ছে নদীর জলে। যা দেখার পর নিজেদের আর স্থির রাখতে পারলেননা অনেকে।

Published by
News Desk

চণ্ডীগড় : খবর ছড়িয়ে পড়ে আগুনের মত। বর্ষায় আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠা নদীতে এখন প্রবল স্রোত। জলও অনেক। সেই স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে প্রচুর বোতল। খবর কানে যেতেই নদীর পাড়ে ভিড় বাড়তে শুরু করে। যে যেখানে ছিলেন চলে আসেন সেখানে। এসে স্বচক্ষে দেখেনও প্রচুর বোতল ভেসে যাচ্ছে স্রোতের টানে। এরপর আর নিজেদের অনেকে স্থির রাখতে পারেননি। পরপর লাফ দিতে থাকেন সেই উত্তাল জলে। তারপর সাঁতরে পৌঁছে যান বোতলগুলির কাছে।

যে যেমন হাতের কাছে পান মদের বোতল সংগ্রহ করে তীরের কাছে ফেরত আসেন। অনেকে তো পরিচিতের হাতে দিয়ে ফের ফিরে যান জলের মধ্যে আরও ভেসে যাওয়া বোতল সংগ্রহ করতে। বোতল সংগ্রহের জন্য জলে তখন অনেক মানুষ এক সঙ্গে সাঁতার কাটছেন। সব বোতলই ছিল দেশি মদের। প্লাস্টিকের বোতলে ভর্তি। সেগুলি জল থেকে যতটা পারা যায় যে যাঁর মত তুলে নেন।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার যমুনানগর জেলার রাদাউর নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনায়। যমুনার জলে এখন বর্ষায় যথেষ্ট স্রোত। জলও প্রচুর। তাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ দিয়ে এই বোতল সংগ্রহের কথা পুলিশের কানেও পৌঁছয়। পুলিশ দ্রুত সেখানে হাজির হয়। পুলিশও স্বীকার করেছে যে প্রচুর বোতল ভেসে যাচ্ছিল যমুনার জলে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

কোথা থেকে বোতলগুলি এল তা এখনও জানা যায়নি। সেগুলি জলেই বা ভেসে যাচ্ছিল কেন তাও পরিস্কার নয়। তবে স্থানীয় এক পুরোহিত এভাবে বোতলগুলি সংগ্রহ করতে মানুষকে বাধা দেন। পরামর্শের সুরে জানান যেগুলি তাঁরা সংগ্রহ করছেন সেগুলি বিষাক্ত মদও হতে পারে। কিন্তু কে কার কথা শোনে। তখন সকলে ব্যস্ত বিনা অর্থ ব্যয়ে যতটা পারা যায় বোতল সংগ্রহ করে নিতে। বাড়িতে মজুত করে ফেলতে। ওই পুরোহিত এটাও বলেন যে তিনি পরামর্শ দিলেও তাঁর কথায় কেউ কান দেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk