National

সকালে বাথরুমে ঢুকেই হাত-পা ঠান্ডা, ছুট

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে ঢুকেই যা দেখলেন তাতে তাঁর হাত-পা ওখানেই ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপরই আর সময় নষ্ট না করে চিল চিৎকার করতে করতে ছুটলেন এক ব্যক্তি।

Published by
News Desk

আগ্রা : সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাথরুমে প্রায় সকলেই প্রবেশ করেন। তখন চোখে ঘুমের একটা আলতো ঘোর থেকে যায়। কিন্তু এক ব্যক্তির সে ঘুম ছুটে গেল মুহুর্তে। প্রতিদিনের মত তিনি বাথরুমে ঢোকেন সকালে। কিন্তু দরজা খুলে ঢুকতেই তিনি যা দেখেন তাতে যে কোনও মানুষের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাওয়ার কথা। হয়ও তাই। প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটতেই তিনি বাথরুম থেকে চিল চিৎকার করে ছুটতে শুরু করেন। ছুটতে ছুটতে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়েও ছুটতে থাকেন। প্রতিবেশিরাও তাঁকে দেখে হতবাক হয়ে যান।

বাথরুমে কী এমন দেখলেন যে তিনি এভাবে ছুটছেন? তা দেখতে পরিবারের অন্যরাও বাথরুমে উঁকি দেন। তাঁরাও দেখে আঁতকে ওঠেন। তারপরই তাঁরা ছুটে গিয়ে প্রতিবেশিদের খবর দেন। সকলে মিলে দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে প্রথমেই ঘিরে ফেলেন বাথরুম। তারপর ফোন করেন বন দফতরে। জানান বাথরুমে একটি আস্ত কুমির শুয়ে আছে। তাঁরা পুরো বাথরুম ঘিরে রেখেছেন। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বন কর্মীরা।

বন কর্মীরা সেখানে পৌঁছে সময় নষ্ট না করে বাথরুমের দরজার কাছে একটি ফাঁদ পাতেন। একটি খাঁচা। সেই খাঁচার মধ্যে টোপ হিসাবে খাবার রাখা হয়। যাতে কুমির খাবার খেতে সেখানে আসে। তারপর খুলে দেওয়া হয় বাথরুমের দরজা। কুমির কিছুক্ষণের মধ্যেই বাথরুমের প্যানের ধার থেকে উঠে ধীর পায়ে খাবারের কাছে পৌঁছয়। আর আসতেই খাঁচার দরজা বন্ধ করে দেন বন কর্মীরা। কুমিরটিকে উদ্ধার করে তাঁরা নিয়ে গিয়ে পরে যমুনার জলে ছেড়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে। স্থানীয়দের ধারণা কাছের একটি জলাশয় থেকেই কুমিরটি ওই বাথরুমে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk