স্মার্টফোন, প্রতীকী ছবি
আগরতলা ও গুয়াহাটি : লকডাউন চলছে। তাই সব স্কুলই এখন অনলাইনে পড়াশোনা করাচ্ছে। আর অনলাইনে পড়াশোনার জন্য স্মার্টফোনের গুরুত্ব বেড়েছে। স্কুলের অনলাইন ক্লাসের জন্য তাই ১৫ বছরের কিশোরীর দরকার ছিল একটি অ্যানড্রয়েড ফোনের। সে সেকথা বাবাকে জানায়। পেশায় দিনমজুর সুকুমার ভৌমিক মেয়ের পড়াশোনার প্রয়োজন বুঝতে পারেন। মেয়ের জন্য অনেক কষ্টে একটি ফোনও কেনেন। কিন্তু সে ফোন দেখে বাবার ওপর রেগে যায় মেয়ে।
সে চেয়েছিল একটি অ্যানড্রয়েড ফোন। বাবা নিয়ে এসেছে একটা সাধারণ ফোন। তাতেই রাগ। এ ফোনে সে ক্লাস করতে পারবেনা। বেসিক সেট। বাবার সঙ্গে এ নিয়ে ঝগড়া জুড়ে দেয় মেয়ে। মেয়ের পাশে দাঁড়ান সুকুমারের স্ত্রী। তিনিও স্বামীকে এই অপারগতার জন্য কথা শোনাতে ছাড়েননি। মেয়ে রেগে এক সময় বাবার কিনে এনে দেওয়া নতুন ফোনটাও আছাড় মেরে ফেলে ভেঙে দেয়।
সুকুমার স্ত্রী ও মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেন স্মার্টফোনের যা দাম তাতে তাঁর পক্ষে ওই ফোন কেনা অসম্ভব। তাই তিনি বেসিক সেট কিনে এনেছেন। কিন্তু তারপরও গঞ্জনা থামেনি। সুকুমারের এক আত্মীয় জানান, স্ত্রী ও মেয়ের কাছে চরম অপমানের শিকার হয়ে সুকুমার ঘরে চলে যান। তারপর দরজা বন্ধ করে দেন। ঘরেই আত্মঘাতী হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার মধুপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা