National

সিলিং থেকে ঝুলছে বাবা-মার দেহ, নিচে খেলছে ৯ মাসের ছেলে

সিলিং থেকে বাবা-মার নিথর দেহ ঝুলছে। আর তার তলায় আপন মনে খেলছে তাঁদের ৯ মাসের সন্তান।

Published by
News Desk

গাজিয়াবাদ : মাত্র ৯ মাসের শিশুকে এই পৃথিবীতে একা করে দিয়ে নিজেদের শেষ করে দিলেন বাবা-মা। কেন আত্মহত্যার পথ তাঁরা বেছে নিলেন? তা নিয়ে কেউই বড় একটা কথা বলতে চাইছেন না। পাড়া প্রতিবেশি সকলেরই একটাই অনুশোচনা, ওই দুধের শিশুটা কি দোষ করল যে তাকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েও বাবা-মা তাকে ফেলে মৃত্যুর মত চরম পদক্ষেপ করতে পারলেন? সকলে কার্যত দুষছেন ওই চরম পদক্ষেপ নেওয়া দম্পতিকে।

২ বছর হল বিয়ে হয়েছিল ৩১ বছরের নিখিল কুমার ও ২৮ বছরের পল্লবী ভূষণের। পাটনার বাসিন্দা দম্পতি ভাড়া থাকতেন গাজিয়াবাদের ইন্দ্রপুরম এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। একটি সংস্থার সেলসে কর্মরত ছিলেন নিখিল। পল্লবী গৃহবধূ। তাঁদের একটি ৯ মাসের ছেলে রয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পল্লবীর বোন অঞ্জলি একটি হোয়াটসঅ্যাপ পান। দিদির হোয়াটসঅ্যাপ। পাঠানো হয়েছিল রাত ৩টে ৪৬ মিনিটে। অঞ্জলি ঘুম থেকে উঠে দেখেন সাড়ে ৬টায়। তাতে লেখা ছিল অঞ্জলি যেন তাঁদের বাড়ি এসে পল্লবীর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যান।

এমন একটা হোয়াটসঅ্যাপ-এ সন্দেহ হওয়ায় অঞ্জলি তাঁর এক বান্ধবীকে ফোন করেন। তিনিও ইন্দ্রপুরম এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে দেখতে বলেন দিদির বাড়ি গিয়ে। সেখানে ওই মহিলা পৌঁছে দেখেন দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকে চমকে যান তিনি। বসার ঘরে সিলিং থেকে ঝুলছে পল্লবীর দেহ। তার নিচেই ৯ মাসের ছেলে নিজের মনে খেলে চলেছে। তিনি দ্রুত আশপাশের মানুষ ও পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বেডরুমে নিখিলকেও ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কেন ওই দম্পতি এমন পদক্ষেপ করলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk