প্রতীকী ছবি
নয়াদিল্লি : রাত তখন ১টা। চারিদিকে খুব বেশি লোকজন নেই। করোনা আতঙ্কে এত রাতে দিল্লি শহরটা মোটামুটি ফাঁকাই হয়ে যাচ্ছে। এই সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল ৪১ বছরের মেহতাব। তার নিজের একটি ব্যাটারি চার্জের দোকান রয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের মোবাইল দেখার সময় আচমকাই তার হাত থেকে মোবাইলটি নিয়ে ছুট দেয় এক যুবক। পিছু ধাওয়া করে মেহতাবও।
দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। গৌতমপুরী এলাকার বাসিন্দা গৌতম নামে এক যুবক এই ছিনতাই করে পালাচ্ছিল। মেহতাব তাকে ধাওয়া করে এক সময় পাকড়াও করে ফেলে। তারপর শুরু হয় মার। কাছেই দাঁড়িয়েছিল একটি ই-রিক্সা। তার সঙ্গে গৌতমকে বেঁধে ফেলে সে। মোবাইল চুরির শিক্ষা দিতে তারপর লোহার রড আর প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে শুরু হয় বেদম মার।
পুলিশ খবর পায় বিষয়টি সম্বন্ধে। তবে ডিডিএ পার্কের কাছে গৌতমকে যখন তারা উদ্ধার করে তখন গৌতমের দেহে আর প্রাণ নেই। তার সারা গায়ে মোটা মোটা কালশিটের দাগ দেখতে পান পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই তদন্তে নেমে মেহতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে মেহতাব এর আগেও মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা