হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি, ছবি - আইএএনএস
গত বৃহস্পতিবার বিশাখাপত্তনমের কাছে আরআর ভেঙ্কটাপুরম গ্রামে রাসায়নিক কারখানা এলজি পলিমারস এর ইউনিট থেকে বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক করা শুরু হয়। তার জেরে এক ৮ বছরের বালিকা সহ ১১ জন মানুষের প্রাণ গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩০০ জনের ওপর। গোটা এলাকা জুড়ে দিনভর আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। রাতে নতুন করে ফের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ফের নতুন করে গ্যাস লিক শুরু হয়। যেখান থেকে গ্যাস লিক করেছিল, ঠিক সেখান থেকেই আবার গ্যাস লিক করতে শুরু করে। ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়।
গ্যাস লিক করতে শুরু করতেই ওই কারখানা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোপালপত্তনম, সীমাচলম, পিনাগাড়ি সহ বেশ কিছু এলাকা রাতেই ফাঁকা হতে শুরু করে। মানুষ ভয়ে রাতেই বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে চলে যেতে থাকেন। গ্যাসের গন্ধ নাকে যেতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কেউ হেঁটে, কেউ কোনও গাড়িতে চেপে এলাকা ছেড়ে দূরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাতেই ফাঁকা হয়ে যায় এলাকার পর এলাকা।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও ঝুঁকি নেয়নি। পুলিশকর্মীরা নিজেরাই মানুষজনকে সুরক্ষিত জায়গায় দ্রুত চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাড়িঘর, জিনিসপত্র ফেলে প্রাণ বাঁচাতে মানুষ যত দ্রুত পেরেছেন পালিয়েছেন। যদিও আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, গ্যাস লিক যে পুরোপুরি আটকানো গেছে তা নয়। একটু একটু করে গ্যাস লিক করেই চলছিল। তবে দ্রুত গ্যাস বার হওয়া বন্ধ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বিশাখাপত্তনমের পুলিশ কমিশনার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা