National

উদ্ধার ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়া বিরল প্রজাতির হরিণ

লকডাউনে শহর থেকে গ্রাম এখন ঘরে বন্দি। ফলে রাস্তাঘাটে মানুষের না থাকায় কিঞ্চিত ভরসা পেয়েছে বন্য প্রাণিকুল। তারা জঙ্গল থেকে ফাঁকা শহর, গ্রামে ঢুকে পড়ছে।

Published by
News Desk

শরীরটা অন্য হরিণদের মত অতটা চাবুকের মত নয়। বরং একটু যেন মেদবহুল। ভারী চেহারা। ফলে অন্য হরিণদের মত এই হরিণ লাফাতে পারেনা। কেবল ছুটতে পারে। তাদের চেহারার গড়নের সঙ্গে শুকরের গড়নের কিছুটা মিল পাওয়া যায়। মাথাটাও ঈষৎ ঝুঁকে থাকে।

বিরল প্রজাতির হরিণের তালিকায় জায়গা পাওয়া ভারতীয় হগ ডিয়ার সহজে নজরেই পড়েনা। কিন্তু লকডাউনে শহর থেকে গ্রাম এখন ঘরে বন্দি। ফলে রাস্তাঘাটে মানুষের না থাকায় কিঞ্চিত ভরসা পেয়েছে বন্য প্রাণিকুল। তারা এখন গহন জঙ্গল থেকে ফাঁকা শহর, গ্রামে ঢুকে পড়ছে। তেমনি একটি হগ ডিয়ার ঢুকে পড়েছিল মথুরার নাগলা বিশ্বম্ভরা এলাকায়। সেখানে নিজের মত ঘুরছিল সেটি। যা নজরে পড়ে সেখানকার রাস্তায় থাকা কুকুরদের।

রাস্তার কুকুররা হরিণটিকে দেখামাত্র তাকে তাড়া করে। কুকুরের তাড়া খেয়ে ভয়ে পালাতে থাকে হরিণটি। কিন্তু হগ ডিয়ারের গতি অন্য হরিণদের মত অতটা ক্ষিপ্র নয়। ফলে কুকুররা তাকে তাড়া করে ধরেও ফেলে। আঁচড়ে, কামড়েও দেয়।

ফের কুকুরদের থেকে নিজেকে মুক্ত করে আতঙ্কে পালাতে থাকে হরিণটি। এই খবর পৌঁছয় স্থানীয় বন বিভাগের কাছে। তারা দ্রুত সেখানে পৌঁছে আতঙ্কিত ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়া হরিণটিকে উদ্ধার করে।

হরিণটিকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আঘাতের চিকিৎসা হয়। বনকর্মীরা জানিয়েছেন ভয় থেকে বেরিয়ে আসতে হরিণটির কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল সেটি। বিরল প্রজাতির হরিণটিকে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত করে, তার ভয় কাটিয়ে ফের হরিণটিকে জঙ্গলে নিয়ে যান বনকর্মীরা। তারপর সেখানে তাকে ছেড়ে দেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk