National

ঘুড়ির সুতোয় গভীর ক্ষত, হাসপাতালে ২ পুলিশকর্মী

ঘুড়ি আকাশে ওড়ার পাশাপাশি কাটাকাটিও করে বলে সুতোয় ধার হয় মারাত্মক। কার সুতোয় কত ধার, কার হাতের টান কত ভাল, তার পরীক্ষা হয় ঘুড়ি কাটাকাটির মধ্যে দিয়ে।

Published by
News Desk

লকডাউন চলছে। এই সময়ে সময় কাটাতে অনেকে লখনউ শহরে ঘুড়িকে সঙ্গী করেছেন। অনেকেই বাড়ির ছাদ বা বারান্দা থেকে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। আর ঘুড়ি আকাশে ওড়ার পাশাপাশি কাটাকাটিও করে বলে ঘুড়ির সুতোয় ধার হয় মারাত্মক। কার সুতোয় কত ধার, কার হাতের টান কত ভাল, তার পরীক্ষা হয় আকাশে ঘুড়ি কাটাকাটির মধ্যে দিয়ে।

প্রাচীন এই খেলা ভারতের বেশকিছু প্রান্তে যথেষ্ট জনপ্রিয়। আর তার মধ্যেই একটি হল নবাবদের শহর বলে পরিচিত লখনউ। কিন্তু ঘুড়ির সেই ধারাল সুতো মাঝে মধ্যেই অন্য মানুষের জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠে। যেমন হল ২ পুলিশকর্মীর ক্ষেত্রে। ২ জনের মধ্যে ১ জন আবার মহিলা।

গত রবিবার বিকেলের দিকে লখনউয়ের পলিটেকনিক মোড়ের কাছে বিশাল সিং নামে এক কনস্টেবল তাঁর বাইকে করে যাচ্ছিলেন। সেইসময় তিনি ঘাড়ের কাছে কোনও ধারালো কিছু দিয়ে কাটার অনুভূতি পান। যন্ত্রণায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। উল্টে যায় বাইক। তিনি পড়ে যান।

অন্য পুলিশকর্মীরা তাঁকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘুড়ির সুতোয় তাঁর ঘাড় কাটে বলে জানতে পারা যায়। চিকিৎসকেরা জানান ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রবিবার এই ঘটনা ঘটার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার পলিটেকনিক ফ্লাইওভার দিয়ে আসছিলেন প্রীতি নামে এক মহিলা কনস্টেবল। সেই সময় তাঁর গলায় ধারালো সুতোর টান পড়ে। ফ্লাইওভারের ওপরই উল্টে যায় স্কুটার। তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। মাথায় হেলমেট থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তাঁকেও রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসকেরা অবশ্য জানিয়েছেন প্রীতির স্বর যন্ত্রে আঘাত লাগেনি। তবে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। তাই ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে কঠোর নজরদারিতে রাখতে হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk