National

দাহ করার কাঠ কমছে বৈকুণ্ঠধামে, বাড়ছে চিন্তা

দেশে এমনও অনেক শ্মশান রয়েছে যেখানে কাঠের চুল্লিতে দাহ করার কাঠ কমে আসছে

Published by
News Desk

যেখানে দাহ করার জন্য ইলেকট্রিক চুল্লি রয়েছে সেখানকার কথা আলাদা। সেখানে মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু দেশে এমনও অনেক শ্মশান রয়েছে যেখানে কাঠের চুল্লিতে দাহ করার কাঠ কমে আসছে। যা পরিস্থিতি তাতে ৩-৪ দিনের মধ্যেই হাতে থাকা সব কাঠ শেষ হয়ে যাবে।

লকডাউনের জেরে শ্মশানে দাহ করার কাঠ এসে পৌঁছচ্ছে না। আর সেটাই সমস্যার কারণ হয়েছে লখনউয়ের বৈকুণ্ঠধাম শ্মশানে। লখনউয়ের সবচেয়ে বড় এই শ্মশানে প্রতিদিন গড়ে মৃতদেহ আসে ১৫ থেকে ২০টি।

তাই যদি আগামী ৩ থেকে ৪ দিন আসে তাহলে জমা সব কাঠ শেষ হয়ে যাবে। তারপর কাঠের চুল্লিতে আর পোড়ানো সম্ভব হবে না। যদি না এরমধ্যে কাঠ এসে পৌঁছয়। এমনই জানিয়েছেন বৈকুণ্ঠধাম শ্মশানের পুরোহিত কালু পণ্ডিত।

এমনকি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মানুষ যখন মৃতদেহ সৎকার করতে আসেন তখন যদি এমন কোনও সমস্যা তৈরি হয় তা থেকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যাও তৈরি হতে পারে। লখনউয়ের আরও একটি শ্মশান ঘাট হল গুলালা ঘাট। এখানেও কাঠের চুল্লি রয়েছে। এখানেও কাঠের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

অন্যদিকে বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে দাহ করার জন্য কাঠের অসুবিধা সেভাবে নেই। সেখানে যথেষ্ট কাঠ মজুত রয়েছে বলেই শ্মশানের তরফে পরিস্কার করা হয়েছে। অন্যদিক আবার প্রয়াগরাজের সবচেয়ে বড় শ্মশানটি রয়েছে রসুলাবাদে। সেখানে দাহ করার জন্য কাঠের চরম অভাব তৈরি হয়েছে।

শ্মশানের এক কর্মী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কাঠে দাহ করার জন্য ৩ গুণ খরচ দিতেও প্রস্তুত মানুষজন। কিন্তু কাঠ তাঁদের হাতে অনেকটাই কমে এসেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk