ফাইল : জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ছবি - আইএএনএস
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম স্তম্ভ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা পরিস্থিতি তাতে সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে কংগ্রেসের ২০ জন বিধায়ক যদি সিন্ধিয়ার সঙ্গে থেকে ইস্তফার রাস্তায় হাঁটেন তাহলে কিন্তু মধ্যপ্রদেশের ১৫ মাসের কমলনাথ সরকারের পতন সময়ের অপেক্ষা হয়ে যাবে। ফলে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। তারাও আলাদা করে মঙ্গলবার হোলি ভুলে বৈঠকে বসেছে।
মধ্যপ্রদেশে সপা, বসপার সাহায্য নিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন সিন্ধিয়া। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস হাইকমান্ড তাঁকে শান্ত করে বর্ষীয়ান কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করে।
তারপর থেকেই সিন্ধিয়া বনাম কমলনাথ একটা ঠান্ডা লড়াই চলছিল। অন্যদিকে গোপনে কমলনাথের বিরুদ্ধে যে ঘর গোছানো শুরু করেছিলেন সিন্ধিয়া, তা প্রকাশ্যে আসে সোমবার। সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ২০ জন কংগ্রেস বিধায়ক গত সোমবারই বেঙ্গালুরুতে একটি রিসর্টে গা ঢাকা দেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সোমবারও একবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার হোলির দিনও তিনি অমিত শাহর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে সিন্ধিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে এটা পরিস্কার যে সিন্ধিয়া ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা দল ছাড়লে কমলনাথ সরকার পড়ে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা