দিল্লির ভজনপুরায় ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বাড়ির ধ্বংসস্তূপ, ছবি - আইএএনএস
রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে দিল্লিতে নিরাপত্তা বেষ্টনী যেমন আঁটসাঁট, তেমনই সাজসাজ রব। তার মধ্যেই শনিবার বিকেলে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা গোটা দিল্লির উৎসবের মেজাজের ছন্দ কাটল। ৪ পড়ুয়া সহ ১ ব্যক্তির মৃত্যু হল বাড়ি ভেঙে পড়ে। অনেক পড়ুয়া আহত। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দমকলকর্মীরা আহতদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আর কেউ ভিতরে রয়ে গেছে কিনা তার খোঁজ চলছে। শনিবার সন্ধের পর পুলিশ জানায়, কমপক্ষে ১৫ জন এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে রয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া।
বাড়িটা পুরো এখনও তৈরি হয়নি। তৈরির কাজ চলছিল। ওই বাড়ির পাশেই ছিল একটি কোচিং সেন্টার। শনিবার বিকেলে সেখানে কোচিং ক্লাসও ছিল। পড়ুয়ারা হাজির ছিল। শিক্ষক হাজির ছিলেন। আচমকাই ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বাড়িটা। সোজা এসে পড়ে লাগোয়া এই কোচিং সেন্টারের ওপর। পুরো ঘটনা এতটাই আচমকা ঘটে যে কোচিং সেন্টার ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময়টুকুও পাননি ছাত্র-শিক্ষকরা। ওই অতিকায় বাড়ির ধ্বংসস্তূপের তলায় চলে যায় সকলে।
শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে দিল্লির ভজনপুরা এলাকায়। এখানেই তৈরি হচ্ছিল বাড়িটি। বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয় দমকল। আসে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধারে হাত লাগায় এনডিআরএফ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একের পর এক ছাত্রকে উদ্ধার করা শুরু হয়। অনেক ছাত্রেরই আঘাত গুরুতর। সন্ধের পরও অনেক ছাত্র আটকে থাকে ধ্বংসস্তূপের তলায়।
কীভাবে ভেঙে পড়ল বাড়িটি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় স্থানীয় মানুষের ভিড় জমে যায় সেখানে। তাঁরাও প্রাথমিকভাবে চাপা পড়া ছাত্রদের বার করে আনার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে নির্মীয়মাণ বাড়িটির তৃতীয় ও চতুর্থ তল পুরোটাই ভেঙে পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা