Categories: National

মন্ত্রীর চাপ, ৪ ঘণ্টায় তৈরি স্পেশাল ট্রেন!

Published by
News Desk

ভারতীয় রেল আর ১৮ মাসে বছর যে সমার্থক শব্দ তা দেশের সিংহভাগ মানুষই মেনে নেবেন। ঠিক সময়ে ছাড়া হলেও ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছন এক অলীক কল্পনায় রূপান্তরিত হয়েছে। তার ওপর প্রয়োজনে স্পেশাল ট্রেনের বন্দোবস্ত। রেল কর্তাদের এসব বাজে কাজের সময় নেই। তাতে যাত্রীরা সমস্যায় পড়লে পড়বেন। তাতে কার কি আসে যায়! এমন ঘুমিয়ে থাকা রেলকেও যে ঠিকঠাক জায়গা থেকে চাপ এলে টগবগিয়ে ছোটান যায় তা দেখিয়ে দিল মুম্বইয়ের একটি ঘটনা। কয়েকদিন ধরেই মুম্বইয়ের বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহার কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এখন বিয়ের মরসুম চলছে। ফলে মুম্বই থেকে সেখানে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ভিড় রয়েছে। কিন্তু যে কটি ট্রেন চলে তাতে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বহু যাত্রীকেই একটা টিকিটের জন্য প্ল্যাটফর্মে শুয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। অথচ কোনও স্পেশাল ট্রেন দিচ্ছেনা রেল দফতর। অভিযোগ পেয়ে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বৈঠক ডেকে শুক্রবারই স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সর্বনাশ, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন দেওয়া কী মুখের কথা। তবু মন্ত্রীর নির্দেশ। অগত্যা মুম্বই ডিভিশনে নির্দেশ পৌঁছয়। রেলকর্তা তৎক্ষণাৎ নির্দেশ দেন বাইকুল্লা, দাদর, মাজগাঁও, সিএসটি যেখানে রেলওয়ে ইয়ার্ডে ফাঁকা বগি পড়ে আছে তা দ্রুত সাফ করে কমপক্ষে ১২ কামরার একটি গাড়ি তৈরি করতে। শুরু হয় যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে কামরা সাফাইয়ের কাজ। রেল কর্তাদের তদারকিতে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন ইয়ার্ডে হেলায় পড়ে থাকা ১২টি বগির চেহারাই বদলে গেল। সব পরিস্কার। ভাঙা ফ্যান বদলে নতুন ফ্যানও লেগে গেল। অবশেষে রাত সাড়ে ১১টায় মুম্বই-গোরক্ষপুর স্পেশাল ট্রেন রওনা দিল ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস থেকে। ট্রেন ছাড়ার পর অনেক যাত্রীই চাপা হাসি হেসে বললেন, একেই বলে চাপের নাম…!

Share
Published by
News Desk