National

সাধ্বী প্রজ্ঞাকে সন্ত্রাসবাদী বললেন রাহুল, পদক্ষেপ করল খোদ বিজেপিও

Published by
News Desk

বিজেপি সাংসদ তিনি। কিন্তু বিজেপিকেই খোলাখুলি তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হল। বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে, সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে এই শীতকালীন অধিবেশনে দলের কোনও সংসদীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হবেনা। তিনি এই বৈঠকে হাজির থাকতে পারবেননা। সেইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা কমিটি থেকেও সাধ্বী প্রজ্ঞাকে বাদ দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডাকে সাফ জানাতে হয়েছে যে বিজেপি সাধ্বী প্রজ্ঞার বক্তব্যের নিন্দা করছে। ফলে দলের সাংসদ হয়েও তিনি যে দলকেই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

গত বুধবার সংসদে ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে-কে দেশভক্ত বলে ব্যাখ্যা করেন। একথা বলার পরই বিরোধীরা চিৎকার শুরু করে দেয়। বিজেপি যে তাদের সাংসদের সমর্থনে দাঁড়াবে সে সুযোগও ছিলনা। এরপর বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদের বক্তব্য নিয়ে জোড়াল প্রতিবাদ করেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে জানতে চান মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীকে কীভাবে একজন দেশভক্ত বলতে পারলেন বিজেপি সাংসদ। জোড়াল প্রতিবাদের পর কংগ্রেস এদিনের মত লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি সাংসদের বক্তব্য ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে এক দুঃখের দিন। ট্যুইট করে রাহুল আরও বলেন, একজন সন্ত্রাসবাদীকে আর একজন সন্ত্রাসবাদী দেশভক্ত বলেছেন। প্রসঙ্গত ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা এবার প্রথম বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেন না। এর আগেও তিনি নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলেছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী জানান, এই কথার জন্য তিনি নিজে কোনও দিন মন থেকে সাধ্বীকে ক্ষমা করতে পারবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk