National

মহারাষ্ট্রে মহাভারত, শপথের ৪ দিনের মাথায় রণে ভঙ্গ দিল বিজেপি

Published by
News Desk

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বুধবার ফ্লোর টেস্টে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বিজেপিকে। কিন্তু সেই নির্দেশ আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়িতে পৌঁছন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। সেখানে তিনি ফড়নবিশের হাতে তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ৭৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিয়ে ফেলেন তিনি। আর তার ২ ঘণ্টা পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশও ইস্তফা দিলেন। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। ফলে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আর কিছু রইল না। যেমন রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেছিলেন তেমনই চটজলদি ইস্তফাও দিলেন তিনি।

রাতারাতি মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার হওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সেখানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। তাঁর সঙ্গে শপথ নেন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার। বিজেপির দাবি ছিল এনসিপি-র সব বিধায়ক তাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন এটা পুরোটাই অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এর মধ্যেই এনসিপি-র ৫ বিধায়ক বেপাত্তা হয়ে যান। শনিবার থেকে চলা সেই নাটকের যবনিকা পতন হল মঙ্গলবার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বিজেপিকে। আর এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়ে দেন তাঁর দলের সরকার গড়ার মত সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই।

বিজেপি-শিবসেনা একসঙ্গে ভোটে লড়েছিল। মানুষ জোটকে ভোটও দেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এদিন দাবি করেন, ভোটের পর শিবসেনা দাবি করে তাদের আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্ব দিতে হবে। বিজেপির দাবি এমন কোনও কথা শিবসেনার সঙ্গে হয়নি। ফলে বিজেপি বেঁকে বসে। ফড়নবিশ জানান, এরপর বিজেপির সঙ্গে কোনও কথায় না গিয়ে শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দেয়। তাঁর দাবি, শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস সরকার গড়লেও তা মহারাষ্ট্রে কতদিন চলবে তা নিয়ে তাঁর সন্দেহ আছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের পর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র যে তিনি তুলে দেবেন সেকথাও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে যান ফড়নবিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk