National

আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল, কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরেছিল ২ মহিলা

Published by
News Desk

কখনও কলেজ পড়ুয়াদের জোর করে আমলা, মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে বিছানায় শুতে বাধ্য করা। তারপর সেই যৌন মিলনের ছবি লুকিয়ে তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল। কখনও আমলা, মন্ত্রী, বিধায়কদের ফাঁসাতে কলগার্ল বা বলিউডের বি গ্রেডের সিনেমার নায়িকাদের একাংশকে কাজে লাগানো। দিনের পর দিন ধরে একাজ চালিয়ে গেছে শ্বেতা জৈন। এই পুরো যৌন কেলেঙ্কারি চক্রের মাথা ছিল সে। আর তার সহযোগী ছিল আরতি দয়াল। যার মূল কাজ ছিল কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে আমলা, মন্ত্রীদের সঙ্গে দামি হোটেলে বিছানায় নিয়ে গিয়ে ফেলা। তারপর সেই ছবি তুলে মন্ত্রী, আমলাদের ব্ল্যাকমেল।

এই কাজ করে শ্বেতা জৈন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিল। সেই টাকা আবার সে কর্পোরেটে লগ্নি শুরু করেছিল। মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে একটি আইটি ফার্ম ও একটি রিয়েলটি ফার্ম তৈরি করেছিল। যার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিল শ্বেতা আর আরতি ছিল ডিরেক্টর। এই ২ মহিলার হাতেই ছিল ব্ল্যাকমেলের কোটি কোটি টাকা। কলজে পড়ুয়ারা যাতে মুখ না খোলে সেজন্য তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হত। পাশাপাশি ক্ষতি করার ভয়ও দেখানো হত। তাদের হোটেলের ঘরে দৈহিক মিলনের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখানো হত।

মধ্যপ্রদেশের এই যৌন কেলেঙ্কারি চক্রের মাথা শ্বেতা আপাতত গ্রেফতার হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে তৈরি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের চেষ্টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারছেন সিট-এর আধিকারিকরা। এর জাল কীভাবে ছড়িয়েছিল তা জানতে পেরে পুলিশও হতবাক। শ্বেতা যেসব ফোন কল রেকর্ড করেছিল তাও হাতে পেয়েছে পুলিশ। মন্ত্রী, আমলাদের সেই চ্যাটে যৌন উদ্দীপক কথাবার্তা পেয়েছে তারা। শ্বেতার কাছে যে তারা যৌন সাহায্য চেয়েছিল তাও ফোন কলে পরিস্কার। এখন সেসব চ্যাট শুনে আমলা, মন্ত্রীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk