National

১২৮ কোটি টাকার ইলেকট্রিক বিল, শক খেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Published by
News Desk

আপাতত অন্ধকারেই বাস করছেন তাঁরা। ইলেকট্রিক বিল জমা না দিতে পারায় বিদ্যুৎ দফতর তাঁদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়ে গেছে। বিল না জমা দিলে তা আর জোড়া লাগানোও হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু কীভাবে দেবেন তাঁরা ওই বিল? কোনও সাধারণ পরিবারের পক্ষে তো ১২৮ কোটি ৪৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকার বিল দেওয়া সম্ভব নয়। কত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন দম্পতি? সেখানে জানানো হয়েছে মোটে ২ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ সামিম ও তাঁর স্ত্রী।

বৃদ্ধ সামিম জানাচ্ছেন, ওই বিল দেখে তিনি ছুটে যান বিদ্যুৎ দফতরে। কিন্তু তারা জানিয়ে দেয় কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে আগে বিল মেটাতে হবে। তারপর সবকিছু। সামিম বলছেন, গোটা শহরের বিল তাঁকে পাঠিয়ে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। এখন বলছে আগে ওই টাকা জমা দাও তারপর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ওই টাকা আসবে কোথা থেকে? তাঁদের পক্ষে তো ওই টাকা দেওয়া কোনও দিনই সম্ভব হবে না!

বৃদ্ধ সামিমের ইলেক্ট্রিসিটি বিল, ছবি – আইএএনএস

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার চামরি গ্রামে। চামরি গ্রামের বাসিন্দা সামিম জানাচ্ছেন, তাঁর পরিবারে প্রতিমাসের বিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে আসে। এবার গোটা শহরের বিলটাই বোধহয় তাঁর নামে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের বড় কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস। লখনউয়ে বিদ্যুৎ দফতরের বড় কর্তারা জানান তাঁরা এখনও বিষয়টি সম্বন্ধে কিছু জানেন না। খোঁজ নিচ্ছেন। কোনও সমস্যা হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই ঠিক করা হবে। কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে সবদিক না খতিয়ে দেখে এখনই পরিস্কার করে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। তার আগে কিন্তু ওই পরিবারকে অন্ধকারেই দিন গুজরান করতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk