ফাইল : হাই ভোল্টেজ পাওয়ার লাইন
শুক্রবার তখন সন্ধে নেমে গেছে। গ্রামের ধারে টিউবওয়েল লাগোয়া একটি বাঁধানো জলাধার। খুব বড় নয়। তবে সেখানে কয়েকজন হেসে খেলে স্নান করতে পারেন। সেই জলাধারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় এক কৃষক। তাঁর নজরেই প্রথম আসে বিষয়টি। তিনি লক্ষ্য করেন ওই জলাধারে কী যেন ভাসছে। কাছে যেতে দেখেন ৪ বালকের দেহ নিস্তেজ অবস্থায় জলে ভাসছে। তারা প্রত্যেকই তাঁর যথেষ্ট পরিচিত। একই গ্রামে থাকে। এভাবে ওই ৪ বালককে দেখে আর সময় নষ্ট না করে কৃষক ছুট লাগান গ্রামে। খবর দেন ওই বালকদের পরিবারে।
খবর পেতেই কার্যত গোটা গ্রাম ছুটে আসে ওই জলাধারের কাছে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দেখে ওই জলাধারের কাছেই রয়েছে একটি ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার। যেখান থেকে একটি তার খুলে জলাধারের জলে পড়েছে। বিষয়টি বুঝতে আর কোনও অসুবিধা হয়নি তদন্তকারীদের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ৪ বালকের। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ৪ বালকের দেহ তুলে এনে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার পেতিয়ান গ্রামে। যে ৪ বালকের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ২ জন সম্পর্কে দুই ভাই। মৃতদের ৩ জনের বয়স ১১ বছর। ১ জনের বয়স ৭ বছর। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা এটা ইলেক্ট্রিসিটি ডিপার্টমেন্টের গাফিলতির ফল। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ৩ দিনের মধ্যে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে তদন্ত কমিটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা