National

দরজা ভেঙে ঢুকতেই দেখা গেল ঘরে পড়ে আছে ৪টি দেহ

Published by
News Desk

দীর্ঘক্ষণ ছেলের ঘরে ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া না পেয়ে তাঁর মা প্রতিবেশিদের খবর দেন। বৃদ্ধার ডাকে সেখানে হাজির হন প্রতিবেশিরা। শুধু ওই বৃদ্ধার ছেলে উপেন্দ্র শুক্লা বলেই নয়, ঘরে থাকার কথা তাঁর বৌমা, ও ৩ নাতি নাতনির। প্রতিবেশিরাও বেশ কয়েকবার ডাকার পরও কারও সাড়া শব্দ না পেয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ফেলেন। তারপর ঘরে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন সকলে। মেঝেতে পড়ে আছে চাপ চাপ রক্ত। আর তারমধ্যে রক্তে মাখামাখি অবস্থায় পড়ে আছেন উপেন্দ্র শুক্লার স্ত্রী ও ৩ সন্তান।

প্রতিবেশিরা এই দৃশ্য দেখার পর দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান নোড়া জাতীয় কোনও ভারী বস্তু দিয়ে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে আঘাত করে করে হত্যা করে উপেন্দ্র। তারপর তার ছোট ছেলেকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এভাবে নিজের পরিবারের সকলকে হত্যা করার পিছনে কী কারণ তা অবশ্য পুলিশ এখনও জানতে পারেনি।

পেশায় স্কুল শিক্ষক উপেন্দ্র শুক্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে উপেন্দ্র শুক্লা মানসিক অবসাদের শিকার। তবে ঠিক কী কারণে এভাবে স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে হত্যা করল সে তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানাচ্ছে উপেন্দ্র এই হত্যার কথা একটি কাগজে লিখে স্বীকারও করেছে। কিন্তু সেই কাগজে খুনের কারণ লেখা ছিল না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk