National

গারদের পিছনে বসেই পিকনিক মুডে মদ্যপানের আসর

Published by
News Desk

গারদের পিছনে বসেই চুটিয়ে চলে মদের আসর, এলাহি খাওয়া দাওয়া, মোবাইল ফোনে অনর্গল কথা, মদ্যপানের সঙ্গে নাচ। আর এসবই করছে জেলবন্দি দুষ্কৃতিরা। সাধারণ জেলবন্দি বললে হয়ত ভুল হবে। এরা হল কুখ্যাত সব দুষ্কৃতি। জেলের গারদের মধ্যেই তাদের এমন পিকনিকের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদেরই মধ্যে কেউ একজন এই ছবি ও তাদের জেলে বসে ফুর্তির ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। যা ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস এই খবর প্রথমে প্রকাশ্যে আনে। তারপরই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ২ সন্ত্রী পদে থাকা জেলকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।

গত ৪ জুন ওই পিকনিকের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ওদিনই ওই পিকনিকের কারণও ছিল। গাদাউ পাসি, উদয় যাদব, রানু-র মত কুখ্যাত অপরাধীদের ওই মদ্যপানের পিকনিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেল আধিকারিকরাই। ওইদিনের ওই আসর বসেছিল ওই জেল থেকে আতিক আহমেদ নামে এক মাফিয়া ডন তথা রাজনীতিবিদকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার খুশিতে। সেখানে অফুরন্ত আমিষ খাবারের আয়োজন ছিল। আয়োজন ছিল যথেচ্ছ মদের।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের নৈনি সেন্ট্রাল জেলের। ওদিনই আতিক আহমেদকে গুজরাটের সবরমতি জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আতিক ওই জেলে আর নেই, এই খুশিতে অন্য কুখ্যাত অপরাধীরা পিকনিকের আয়োজন করে। এক প্রাক্তন জেলকর্তাই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন এসব ক্ষেত্রে জেলের আধিকারিকদের জন্য মাসোহারার বন্দোবস্ত থাকে। ফলে তাঁরা এসব দেখেও অন্ধ হয়ে থাকেন।

খাবার থেকে মদ সবই আসে বাইরে থেকে। যা জেলের নিয়ম বিরুদ্ধ। জেল আধিকারিক থেকে কর্মীরা জড়িত না থাকলে এমন যে হতে পারেনা তা সাধারণ মানুষও বোঝেন। এমনকি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে খাবার সাজানো রয়েছে বোন চায়নার প্লেটে। ফলে সবকিছুই হয়েছে রীতিমত সাজিয়ে গুছিয়ে। মনে করা হচ্ছে হয়ত জেলের মধ্যেও যে তারা রাজার হালেই আছে তা বোঝানোর জন্যই তাদের আনন্দ ফুর্তির ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আপাতত এসব দুষ্কৃতিকে নৈনি সেন্ট্রাল জেল থেকে সরিয়ে বিভিন্ন জেলে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk