ফাইল : সত্যেন্দর জৈন, ছবি - আইএএনএস
দিল্লির করোল বাগে হোটেলে বিধ্বংসী আগুনে ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা সারা দেশের মানুষের সঙ্গে দিল্লি সরকারকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে আপ সরকার। শুরু হয় হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা। হোটেলের সুরক্ষা বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখা। যার কোপে ইতিমধ্যেই দিল্লির ৫৭টি হোটেলে তালা পড়ে যাচ্ছে। এবার সেই হোটেলের পাশাপাশি সরকারের সুরক্ষা বন্দোবস্তের মাপকাঠিতে ফেল করল দিল্লির ১৪টি গেস্ট হাউসও। ফলে সেগুলিও বন্ধ হচ্ছে।
গত শনিবার দিল্লির করোল বাগেই ১৮টি গেস্ট হাউসে হানা দেন দিল্লির দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখেন এসব গেস্ট হাউসের সুরক্ষা বন্দোবস্ত। আর সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়ল ১৮টির মধ্যে ১৪টি গেস্ট হাউস। ১৪টি গেস্ট হাউসের ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট বাতিল করে দমকল। পরে তা দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে জানিয়ে দেন দিল্লি দমকলের ডিরেক্টর।
গত শনিবার দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন ট্যুইট বার্তায় জানান, দিল্লির ৮০টি হোটেল তাঁরা খতিয়ে দেখেন। দেখা গেছে তার মধ্যে ৫৭টি হোটেলেরই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক নয়। অগ্নিনির্বাপণ সম্বন্ধীয় যে গাইডলাইন রয়েছে তা এই হোটেলগুলি মানছে না। ফলে তাদের ফায়ার লাইসেন্স বাতিল করেছে সরকার। অর্থাৎ ৫৭টি হোটেল বন্ধ হচ্ছে। এবার সেই ৫৭টি হোটেলের সঙ্গে ১৪টি গেস্ট হাউসেও তালা পড়ে গেল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)