Categories: National

অমানবিক!!

Published by
News Desk

গোটা ঘটনাটাই চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে সিসিটিভির দৌলতে। যা দেখে আপাতত ছিছি করছে গোটা দেশ। রাজধানী দিল্লির রাজপথে একটা মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে কাতরাতে মরে গেলেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সকলে তা দেখলেন। কিন্তু কেউ তাঁকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলেন না! কাজের সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের ছেলে মহিরুল দীর্ঘদিন দিল্লি নিবাসী। গতকাল কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একটি বেপরোয়া টেম্পো তাঁকে সপাটে ধাক্কা মারে। পাশের নর্দমায় ছিটকে পড়েন মহিরুল। কাতরাতে থাকেন যন্ত্রণায়। এবারই শুরু পরতে পরতে চমক। যে টেম্পোটি ধাক্কা মারে সেটি কোনওক্রমে টাল সামলে দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। সকলের মনে হয়েছিল চালক দ্রুত বেরিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু না। চালক বার হলেন। গাড়ির যে অংশে মহিরুল ধাক্কা খেয়েছিলেন, সেই অংশ ভাল করে দেখলেন। দেখলেন গাড়ির কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা। নিশ্চিন্ত হওয়ার পর নির্বিকারভাবে গাড়ি চালিয়ে চলেও গেলেন। মহিরুলকে কাতরাতে দেখেও এগিয়ে আসার প্রয়োজনটুকু বোধ করলেন না ঘাতক টেম্পোর বেপরোয়া চালক। এবার মহিরুলকে এই অবস্থায় দেখে এগিয়ে এলেন আশপাশের কয়েকজন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন একটা মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছেন। কিন্তু ওইটুকুই। ঘুরে ফিরে চলে গেলেন সকলে। একজন রিকশা সওয়ারি আবার নিজের মনে করে কুড়িয়ে নিলেন মহিরুলের ছিটকে পড়া মোবাইল ফোনটি। কিন্তু সব হল, মহিরুলকে কেউ তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সৌজন্যটুকু দেখালেন না। অবশেষে পুলিশ এসে যখন রক্তাক্ত মহিরুলকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। দিল্লির এই অমানবিক ছবি দেখে সারা দেশের চোখ কপালে উঠেছে। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, এরাও মানুষ!

Share
Published by
News Desk