National

দলিত সংগঠনের ডাকে ভারত বন্‌ধে অবরোধ, আগুন, তাণ্ডব, হিংসা, মৃত ৪

Published by
News Desk

তফশিলি জাতি ও উপজাতির আওতাভুক্ত মানুষজনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন সরলীকরণের বিরুদ্ধে সোমবার ভারত বন্‌ধের ডাক দেয় দেশের বেশ কয়েকটি প্রথমসারির দলিত সংগঠন। আর সেই বন্‌ধের জেরেই কোথাও থমকে গেল সিবিএসই-র পরীক্ষা, কোথাও থমকে গেল ট্রেন, কোথাও হল ভাঙচুর, কোথাও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ। কোথাও বন্‌ধ চেহারা নিল কর্মহীন অলস দিবসের। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনেই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে থমকে গেল জনজীবন। বন্‌ধে হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ জনের।

বন্‌ধে অনেক জায়গায় হিংসার ঘটনাও ঘটেছে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র ও মোরেনায় বন্‌ধকে কেন্দ্র করে হিংসায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে বন্‌ধ সমর্থকদের তরফ থেকেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।

পশ্চিমবঙ্গে বন্‌ধের তেমন কোনও প্রভাব না পড়লেও বন্‌ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব, রাজস্থানে। পঞ্জাবে সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট অনেকটাই শুনশান। মানুষ বড় একটা বাইরে বার হওয়ার ঝুঁকি নেননি এখানে।

অনেক জায়গায় বন্‌ধ সফল করতে বন্‌ধ সমর্থকদের সকাল থেকেই হাতে তরোয়াল, লাঠি, ধারাল অস্ত্র, বেসবল ব্যাট হাতে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। অনেক জায়গায় সকালে দোকানপাট খুললেও তা বন্‌ধ সমর্থকেরা ভয় দেখিয়ে বন্ধ করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। অনেক জায়গায় রেল অবরোধ হয়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন নিত্যযাত্রী থেকে দূরপাল্লার যাত্রীরা।

রাজস্থানের বারমের, হিন্দায়ুন ও কারাউলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের মোরেনায় কার্ফু জারি হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে গোয়ালিয়রের কিছু অংশ ও সাগরে। অনেক জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। গুজরাটের আমেদাবাদে রাস্তায় শুয়ে পড়ে অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকেরা। মেরঠে পুলিশ আউটপোস্টে আগুন ধরিয়ে দেন বন্‌ধ সমর্থকেরা।

এদিকে এদিনের বন্‌ধে হিংসা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলিকে হিংসা না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Share
Published by
News Desk