SciTech

নিজের ‘পটি’ খেয়েই থাকতে হতে পারে ভবিষ্যতে, বলছে গবেষণা

নাসা একটি গবেষণা শুরু করে। খারাপ গুণ নিঃশেষ হয়ে কেবল তৈরি হবে পুষ্টিকর খাদ্য। যা অনায়াসে একজন মানুষ খেতে পারেন।

Published by
News Desk

শুনলে গা ঘিনঘিন করতেই পারে, কিন্তু এটাই হয়তো বাস্তব হতে চলেছে মহাকাশচারীদের জীবনে। দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে খাবার নিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল।

মহাকাশে সাধারণত মহাকাশচারীরা গেলে তাঁরা ৬-৭ মাস থেকে ১ বছর কাটিয়ে দেন সেখানে। গবেষণামূলক কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাঁদের সেখানে জীবনধারণের প্রয়োজনীয় খাবারও তাঁদের সঙ্গেই মহাকাশযানে পাঠাতে হয়। যা যানের অনেকটা অংশ দখল করে থাকে।

মহাকাশে মানুষ, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ

পাশাপাশি সবসময়ে পুরো খাবার পাঠানোও সম্ভব হয়না। এই সমস্যা সমাধানে পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে নাসা একটি গবেষণা শুরু করে। ভাবা শুরু হয় কিভাবে মহাকাশে নভশ্চরদের জন্য খাবার না পাঠিয়েও তাঁদের খাদ্যের প্রয়োজন মেটানো যায়।

তাতে গবেষকরা একটা উপায় বার করেছেন। তাঁরা দেখেছেন যদি মানুষ নিজের ত্যাগ করা মলকেই খাবারে পরিণত করতে পারে তবে অনেকটাই খাবার বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে।

সেইমত তাঁরা মানুষের বিষ্ঠার সঙ্গে কিছু মাইক্রোব মিশিয়ে সেটাকে একটি লেই বা পেস্ট আকারের বস্তুতে রূপান্তরিত করেন। যাতে মলের খারাপ গুণ নিঃশেষ হয়ে কেবল তৈরি হয় পুষ্টিকর খাদ্য। যা অনায়াসে একজন মানুষ খেতে পারেন।

শুধু মহাকাশে থাকাই নয়, নাসার বিভিন্ন গ্রহে মানুষ পাঠানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সেই গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছনো, সেখানে থাকা বা সেখান থেকে ফেরায় অনেক সময় লাগবে।

সেই দীর্ঘ সময়কালের জন্য খাবারের প্রয়োজন মেটাতে পারে এই মল থেকে তৈরি পেস্ট। তবে এটা এখনও খাদ্য হিসাবে গৃহীত হয়নি। একটা গবেষণা মাত্র। তবে আগামী দিনে নিজের মলকে খাবারে রূপান্তরিত করে মহাকাশচারীদের খেতে হতেই পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

Share
Published by
News Desk
Tags: NASA