SciTech

ইচ্ছে করে গিয়ে স্টেডিয়ামের চেহারার গ্রহাণুতে ধাক্কা মারল নাসার যান

নাসার পাঠানো একটি মহাকাশযান সোজা গিয়ে ধাক্কা মারল একটি স্টেডিয়ামের আকারের গ্রহাণুতে। সেটাও কোনও দুর্ঘটনা নয়। একেবারে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা।

Published by
News Desk

২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মহাকাশে পাড়ি দেয় নাসা-র মহাকাশযান ডিএআরটি। ডার্ট মহাকাশযানটি পাঠানো হয় একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। তাকে পাঠানোই হয়েছিল ধাক্কা মারার জন্য।

মহাকাশযানটিকে সেজন্য ১০.৯ মিলিয়ন কিলোমিটার দৌড় করানো হয়। ১৪ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টা বেগে ডার্ট ছুটে যায় লক্ষ্যের দিকে। লক্ষ্য ছিল একটি গ্রহাণু। আকার একটা ফুটবল স্টেডিয়ামের মত। নাম ডিমরফোজ।

গ্রহাণুটি নিজের মত ছুটে চলছিল মহাকাশে। তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছিল এমনটাও নয়। কিন্তু নাসা নিছক তাতে ধাক্কা মারতেই বিপুল অঙ্ক খরচ করে ডার্টকে পাঠায় তার কাছে।

ডার্ট তার কাজ সম্পূর্ণ করেছে। অবশেষে তা আছড়ে পড়েছে ওই গ্রহাণুটির ওপর। তাতে একটি বিশাল সংঘর্ষও হয়েছে। ডার্ট-এ যে ক্যামেরা লাগানো ছিল তার থেকে আছড়ে পড়ার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ছবি পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ফলে গ্রহাণুটিকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা।

একটা গ্রহাণুকে ধাক্কা মারার জন্য এত খরচ করে কেন যান পাঠাল নাসা? মহাবিশ্বে অগুন্তি গ্রহাণু ছুটে বেড়াচ্ছে। তার কোনও কোনওটা পৃথিবীর কাছাকাছিও এসে পড়ে।

এমনও হতে পারে যে কোনওটা আগামী দিনে পৃথিবীর দিকেই ধাবমান হল। সেক্ষেত্রে তাকে থামানোর কোনও রাস্তা নেই। একটাই পথ হতে পারে যে তার গতিপথ বদলে দেওয়া।

সেটা সম্ভব তখনই যদি কোনও ধাক্কায় বেসামাল হয়ে সেটি তার গতিপথ বদলে ফেলে। সেটাই সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এই আয়োজন।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানতে চাইছেন এই ধাক্কার পর গ্রহাণুটি তার গতিপথ বদলায় কিনা। যদি তা সামান্যও গতিপথ বদলায় তাহলেই নাসার এই পরীক্ষা সফল হবে। তবে ধাক্কা দেওয়া সম্পূর্ণ হলেও তাতে গতিপথ আদৌ বদল হয়েছে কিনা তা জানতে বেশ কিছুদিন এখনও লাগবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: NASA