শিল্পীর কল্পনায় সেন্টিনেল-৬ মহাকাশযান, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
একটা সময় ছিল যখন জলপথেই দেশ থেকে দেশান্তরে মানুষ পাড়ি দিতেন। সমুদ্রের বুক চিরে ছুটে চলা সেইসব জাহাজ অনেক সময় নিত পৌঁছতে। ক্রমে যাত্রী পরিবহণে জাহাজের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। কিন্তু জাহাজের প্রয়োজন কমেনি।
কারণ এখনও বিশ্বের সিংহভাগ পণ্য পরিবহণ হয় জাহাজে। তাই বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের বুকে অজস্র জাহাজ প্রতিদিন ভেসে চলেছে গন্তব্যের দিকে। এদিকে সমুদ্র মানেই তো একটা বিপদের সম্ভাবনা।
কোথায় ঝড় উঠবে, কোথায় ঢেউ বিশাল উচ্চতা ছোঁবে, কোথায় সমুদ্র উথালপাতাল করবে, এসব বুঝে ওঠা মুশকিল। তাই সমুদ্রের বুকে যাতে যে কোনও জাহাজ নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ হাতে হাত মিলিয়ে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে চলেছে। যার নাম সেন্টিনেল-৬বি। এই কৃত্রিম উপগ্রহটির কাজ হবে মহাকাশ থেকে সমুদ্রের খবর রাখা।
আগামী নভেম্বরে কৃত্রিম উপগ্রহটির মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা। উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি সমুদ্রে কোথায় জলস্ফীতি হচ্ছে, কোথায় হাওয়ার গতি কত থাকবে, কোথায় ঝড়বৃষ্টি হবে এসব খবর আগে থেকে পাঠাতে থাকবে।
এতে কোনও জাহাজ কোথাও পৌঁছনোর আগেই জেনে যাবে সেখানে কবে কখন কি হতে পারে। সমুদ্রের আবহাওয়ার সার্বিক পূর্বাভাস দেবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ।
এটা আগেই হাতে পেলে জাহাজগুলির পক্ষে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে। আচমকা সামুদ্রিক বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। ফলে জাহাজগুলি রক্ষা পাবে। প্রয়োজনে যে সমুদ্রপথে বিপদ হতে পারে সেই পথ এড়িয়ে চলতে পারবে জাহাজগুলি।