মঙ্গলগ্রহে প্রাণের চিহ্নের প্রবল সম্ভাবনা, নীলকান্তমণির মত গিরিখাত দিল প্রমাণ
লাল গ্রহে কি জল ছিল। সেখানে কি কোনও সময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানেই তাঁদের হাতে এল বড় প্রমাণ।

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীরা যেন প্রতিদিন নতুন করে জানছেন। নিজেদের সমৃদ্ধ করছেন। আগামী দিনে মঙ্গলে পৌঁছাবার লড়াই যেমন চলছে, তেমনই মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব কখনও ছিল কিনা তার প্রমাণ খোঁজার চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁদের সেই খোঁজে বড় হাতিয়ার মঙ্গলের বুকে ঘুরে বেড়ানো একাধিক রোভার যান। যার একটি পারসিভিয়ারেন্স রোভার। এটি বহুদিন ধরে জেজেরো ক্রেটারে ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহের পর এখন জেজেরো থেকে উঠে এসেছে।
এখন পারসিভিয়ারেন্স জেজেরোর উপরের আশপাশের এলাকায় ঘুরছে। জেজেরোতে থাকাকালীন পারসিভিয়ারেন্স একটি গিরিখাতের দেখা পায়। যার নাম বিজ্ঞানীরা দেন স্যাফায়ার ক্যানিয়ন। অর্থাৎ নীলকান্তমণির মত গিরিখাত। সেখানেই এমন পাথরের সন্ধান মেলে যা মঙ্গলে কোনও একসময় প্রাণ থাকার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে।
যে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তা জীবনের স্বাক্ষর বহন করছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কয়েক শো কোটি বছর ধরে সেই প্রমাণ লেপ্টে আছে পাথরের গায়ে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনই নিশ্চিত করে এটা বলতে পারছেন না এই প্রমাণ মানেই মঙ্গলে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল!
এটা নিশ্চিত করে বলার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে মঙ্গলগ্রহে যে জল ছিল সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা।
জেজেরোতে নীলকান্তমণির মত গিরিখাত-এ জীবনের স্বাক্ষর থাকা পাথরের সন্ধানটা পারসিভিয়ারেন্স গতবছরই পেয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রবন্ধ সম্প্রতি একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর তা নিয়ে নতুন করে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।