SciTech

লেখা হল ইতিহাস, শনির মত এক্সোপ্ল্যানেটের দেখা পেল নাসার জেমস ওয়েব

মহাকাশে এমন যে কত রয়েছে তা বিজ্ঞানীদেরও জানা নেই। থাকলেও তার ছবি নাসার অতি শক্তিধর টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব তুলে উঠতে পারেনি। এই প্রথম তা তুলে লিখল ইতিহাস।

মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায় শুরু করল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। নাসার এই অতি শক্তিধর টেলিস্কোপ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র, নক্ষত্রপুঞ্জের ছবি অনায়াসে ক্যামেরাবন্দি করতে পারলেও তার চেয়ে অনেক কাছে থাকা কোনও গ্রহের ছবি তুলে উঠতে পারেনি এতদিনে।

গ্রহ বলতে সৌরমণ্ডলের গ্রহ নয়। সৌরমণ্ডলের বাইরের গ্রহ। মানে অন্য নক্ষত্রের গ্রহ। যাকে বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট। তার ছবি কিন্তু এতদিনেও তুলে উঠতে পারেনি জেমস ওয়েব। তাহলে তাদের হদিশ মিলত কীভাবে?

বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপের সাহায্যে নজর রাখতেন নক্ষত্রের দিকে। যদি দেখা যেত কোনও একটি সময়ে নক্ষত্রটির ঔজ্জ্বল্য একটু ম্রিয়মাণ হয়ে এল তাহলে বোঝা যায় তার সামনে দিয়ে তারই কোনও গ্রহ বেরিয়ে যাচ্ছে।

এবার নক্ষত্রটির আলো কতটা ম্রিয়মাণ হল তা হিসাব করে গ্রহটি কত বড় বা তার অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের অনুমান পেতেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সরাসরি সৌরমণ্ডলের বাইরের গ্রহদের দেখার সুযোগ পাননি তাঁরা।

এবার জেমস ওয়েব সেটাই করে দেখাল। টিডব্লিউএ ৭ নামে একটি তারার চারধারে একটি ধুলোর বলয় পায় জেমস ওয়েব। সেই বলয় বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। স্তরে স্তরে সাজানো। তার মধ্যেই একটি গ্রহের দেখা পায় সে।

তার অতি শক্তিধর ক্যামেরা সেটির ছবি তুলে ফেলে। হতে পারে খুব ঝলমলে ছবি নয়, তবে এই প্রথম কোনও এক্সোপ্ল্যানেটের ছবি দেখার সুযোগ পেলেন বিজ্ঞানীরা।

দেখা গেছে গ্রহটি সৌরমণ্ডলের অন্যতম গ্রহ শনিগ্রহের প্রায় সমান। ১১১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে এই গ্রহটি। বিজ্ঞানীদের জানা এটাই সবচেয়ে হালকা এক্সোপ্ল্যানেট বলে জানানো হয়েছে।

গ্রহদের জন্ম ও তার পথচলা বুঝতে আগামী দিনে জেমস ওয়েবের এই দান বিজ্ঞানীদের প্রভূত কাজে আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *