চাঁদে বাড়ি আর স্বপ্ন নয়, মঙ্গলেও হবে ইমারত, পদ্ধতি নিশ্চিত করল নাসা
আগামী দিনে যদি গবেষকেরা, মহাকাশচারীরা এবং তারও পরে সাধারণ মানুষকে চাঁদে বা মঙ্গলে বাসা বাঁধতে হয়, তাহলে তা কীভাবে সম্ভব সেটা নিশ্চিত করল নাসা।

চাঁদে বাড়ি থাকবে। মঙ্গলগ্রহেও বাড়ি হবে। গবেষণাগার হবে। মহাকাশযান পাঠানোর ও নামানোর জন্য লঞ্চপ্যাড হবে। এগুলো এখন অনেকের কল্পবিজ্ঞানের মনগড়া কাহিনি মনে হতে পারে। কিন্তু তা বাস্তব হতে আর বেশি দেরি নেই।
নাসা এবার চাঁদ বা লাল গ্রহে বাড়ি বানানোর কৌশল সুনিশ্চিত করে ফেলল। এসব বাড়ি বা নির্মাণ কাজের জন্য নাসা পৃথিবী থেকে নির্মাণ সামগ্রি নিয়ে যাবেনা। বরং তা ওই চাঁদ বা লাল গ্রহ থেকেই যোগাড় করে নেবে।
পৃথিবীর বাইরে যে কোনও নির্মাণকাজের জন্য রোবোটিক থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। আর কাজে লাগানো হবে চাঁদ বা মঙ্গলেই থাকা রেগোলিথ। কি এই রেগোলিথ?
রেগোলিথ হল চাঁদ বা মঙ্গলের উপরিস্তরের মাটি। যা তার তলায় থাকা শক্ত পাথরের ওপর লেপ্টে থাকে। উপরিস্তরের মাটি হালকা হয়। কঠিন হয়না। নির্মাণের জন্য যেটুকু জল লাগবে তাও ওই রেগোলিথ থেকেই যোগাড় করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
এই উপরিস্তরের মাটি বা রেগোলিথের গুঁড়ো দিয়েই কংক্রিট তৈরি করা হবে। প্রথমে চাঁদ বা মঙ্গলের মাটিকেই সংগ্রহ করে তা গলিত আকারে নিয়ে আসা হবে। তারপর সেটি একটি যন্ত্রের মুখ দিয়ে বেরিয়ে স্তর স্তরে একটি নির্মাণকে রূপ দেবে। যা সেখানকার তেজস্ক্রিয়তাকেও আটকে দেবে।
আরও নানাদিক নজরে রাখা হবে। নাসার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল সব শেষে এমন এক নির্মাণ চাঁদ বা মঙ্গলে গড়ে তোলা যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারবে। তাদের এই উদ্যোগের পুরো বিষয়টি নাসা সকলের সামনে তুলে ধরেছে।