১৮০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে শুক্রগ্রহের কম্পিউটার সিমুলেটেড রূপ, ছবি – সৌজন্যে – নাসা ডট গভ
পৃথিবীর যে জমি রয়েছে তা মাটির গভীরে গেলে একের পর এক স্তরে তৈরি। যাকে টেকটনিক প্লেট বলা হয়। ২টি টেকটনিক প্লেটে সংঘর্ষ হলে হালকা টেকটনিক প্লেটটি অপেক্ষাকৃত ভারী টেকটনিক প্লেটের উপরে উঠে যায়। এভাবে পৃথিবীর মাটির স্তরবিন্যাস হয়েছে।
শুক্রগ্রহেও তেমনই থাকা উচিত বলে ধারনা করা হত। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীদের গবেষণা সেই ধারনা বদলে দিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা শুক্রগ্রহের মাটির তলদেশ পরীক্ষা করে অবাক হয়ে গেছেন।
তাঁরা দাবি করছেন, শুক্রগ্রহের মাটি সময়ের সঙ্গে যে ক্রমশ পুরু হয়েছে এমন ধারনা ভুল। বরং উল্টোটাই সত্যি। শুক্রগ্রহের মাটির কোনও স্তর নেই। তা একটি স্তরে তৈরি হয়েছে। যা বেশ পাতলাও। কারণটিও বেশ চমকপ্রদ।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শুক্রগ্রহের উপরিস্তরের মাটি বাদ দিলে নিচে চলে যাওয়া মাটি প্রবল চাপে ও উত্তাপে ভেঙে যায় এবং গলতে থাকে। এই যে মাটি গলতে থাকে তা শুক্রগ্রহের আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে একসময় লাভা হয়ে ছিটকে বেরিয়ে আসে। তারপর মাটির ওপর পড়ে।
উপরের মাটি নিচে গিয়ে ফের গলে যায়। আর এভাবেই শুক্রগ্রহে লাগাতার প্রচুর জ্বালামুখ দিয়ে লাভা উদ্গীরণ হয়ে চলেছে। লাভার এই লাগাতার যোগান চলতে থাকে একটাই কারণে। মাটি উপরিস্তর থেকে নিচে গিয়ে গলে যাচ্ছে। তৈরি করছে নতুন গলিত লাভা। যা ফের উগরে দিচ্ছে জ্বালামুখ।
একটি চক্রাকার পদ্ধতি তৈরি হয়েছে শুক্রগ্রহে। তাই শুক্রগ্রহের মাটি অত্যন্ত পাতলা। আর পৃথিবীর মাটির মত স্তরে স্তরে ভাগ করে নিচের দিকে গেছে এমনটা নয়।